MIME-Version: 1.0 Content-Type: multipart/related; boundary="----=_NextPart_01D1A48E.DAB98E40" This document is a Single File Web Page, also known as a Web Archive file. If you are seeing this message, your browser or editor doesn't support Web Archive files. Please download a browser that supports Web Archive, such as Windows® Internet Explorer®. ------=_NextPart_01D1A48E.DAB98E40 Content-Location: file:///C:/E9DC71D2/file8386.htm Content-Transfer-Encoding: quoted-printable Content-Type: text/html; charset="windows-1252"
atidhwani the Echo
A Peer-Reviewed International Journal of
Humanities & Social Science
=
=
IS=
SN: 2278-5=
264 (Online) 2321=
-=
93=
19 (Print)
=
=
Im=
pact Factor: 6.=
28 (=
I=
ndex Copernicus
International)
=
=
Volume=
-IV,
Issue-IV, April
2016, Page No.
1-6
P=
=
u=
blished by Dept.
of Bengali, Karimganj College, Karimganj,
Assam, India<=
span
style=3D'font-family:"Cambria","serif";mso-fareast-font-family:"Times New R=
oman";
mso-bidi-font-family:Cambria;mso-bidi-language:BN-BD'>
=
Website: =
i>http://www.thecho.in
রবীন্দ্=
80;
ভাবনায়
প্রকৃতিসত্ö=
8;া
ও পরমসত্তা
সুজিত
কুমার মন্ডল
স&=
#2489;কারি
অধ্যাপক, দর্=
486;ন
বিভাগ, বোলপু=
480;
কলেজ, বোলপুর,
বীরভূম,
কলকাতা, ভারত
Abstract
In Tagore’s philosophy, three types of Satta’s a=
re
mentioned–Prakatisatta, Manabsatta and Paramsatta. From childhood Rabindran=
ath
was very much interested with nature. In ‘Jeebansmriti’, we find that
Rabindranath started his life by integrating himself with nature. He was ve=
ry
much influenced by nature. As its evidence, we find plenty of green trees
around his house. According to
Rabindranath, a separate satta exists in everybody’s mind which led him to
think of others. He called it as paramsatta.
It reveals itself by establishing a relationship of love with others.
Based on this relationship Rabindranath established his ‘Jeebandevta’ Tatta=
. In
this paper an attempt has been made to analyse the Prakitisatta and Paramsa=
tta,
as developed by Rabindranath.
বিবর্তনের
এক বিশেষ পর্=
479;ায়ে
পৃথিবীতে আস=
03;
জীব-জগত। এই
জীব-জগতের কো=
472;
এক পর্বে
মানুষের
আবির্ভাব
ঘটে। বিবর্ত=
72;ের
ইতিহাসে
মানুষের
পরিচয়
অন্যান্য
প্রাণীর মত
একটি
প্রাণীরূপেð=
4;
মানুষের প্র=
53;ৃতি
আলোচনা
প্রসঙ্গে
রবীন্দ্রনাö=
9;
দেখিয়েছেন য=
03;,
অনন্তকাল ধর=
03;
সৃষ্টির
বিবর্তন ধার=
94;
মানুষের ইতি=
89;াসে
এসে নিজেকে
প্রকাশ করার
সুযোগ পেয়েছ=
03;।
রবীন্দ্রনাö=
9;
বিবর্তনের
প্রতিটি স্ত=
80;
বিশ্লেষণ কর=
03;
দেখিয়েছেন য=
03;
মানুষকে গড়ে
তোলার জন্য
মানুষের
পূর্ববর্তী
বিবর্তনের
সকল চেষ্টা
ক্রিয়াশীল
ছিল এবং
সৃষ্টির পর
সেই মানুষকে
সম্পূর্ণ
ভাবে প্রকাশ
করে তোলা
প্রকৃতির
লক্ষ্য ছিল।
এই ভাবে বিশ্=
476;
প্রবাহের
ধারার সঙ্গে
মানুষ যুক্ত
হয়েছে।
বিশ্বপ্রবাø=
9;ের
ইতিহাস থেকে
মানুষের
ইতিহাস কখনই
বিচ্ছিন্ন হ=
27;ে
যায় নি।
বিচ্ছিন্ন
হয়নি জড়
বস্তুর ইতিহ=
94;সও।
যুগ-যুগান্ত=
80;
হতে এই সত্য
জৈব প্রবাহে=
80;
মধ্যে সুপ্ত
অবস্থায়
নীহিত আছে।
কখনও তা
প্রকাশিত হয়=
03;ছে
আবার কখনও তা
অব্যক্ত থেক=
03;
গেছে। এই ইতি=
489;াস
মানুষের
মধ্যেই
সর্বাপেক্ষù=
4;
পূর্ণতা লাভ
করেছে।
মানুষের
দেহগত
অবস্থান
জড়াত্মক হলে=
51;
তার অতিক্রম=
67;
ঘটে মানুষের
মানসিক
অবস্থানের ম=
71;্যে
দিয়ে। দেহগত =
476;িভিন্ন
পারস্পরিক
সম্বন্ধ
অপেক্ষা অনে=
53;
গভীর এক
মানসিক
অনুভূতির
মুখোমুখি হত=
03;
পারে একমাত্=
80;
মানুষই।
মানুষ এক গভী=
480;
সত্তার অনুভ=
98;তি
লাভ করে, যার
প্রকাশ ঘটে
তখন, যখন সে
নিজেকে দেখত=
03;
শেখে, জানতে
শেখে,
প্রেমে-কর্ম=
03;-সেবায়
নিজেকে
নিয়োজিত করত=
03;
শেখে, আর ততই
সে তার
অন্তর্নিহিö=
8;
সত্তার
কাছাকাছি যা=
27;।
এ এক এমন
অনুভূতি যা
মানুষকে তার
সত্তার সঙ্গ=
03;
বৃহৎকে
অর্থাৎ ব্রহ=
09;মকে
একাত্ম করে।
মানুষ
স্বরূপত
সামাজিক জীব=
04;
সামাজিক জীব
হিসাবে
মানুষের যেম=
72;
সমাজবোধ থাক=
03;
তেমন সমাজের
প্রতি তাঁর
আনুগত্য
থাকে। মানুষ
প্রকৃতির মধ=
09;যে
আত্মঅতিক্র÷=
8;ণ
করে এবং সকলে=
480;
সঙ্গে মিলিত
হবার ঝোঁক
মানুষের মনে
তৈরী হয়। মান=
497;ষের
এই প্রকৃতিগ=
68;
ঝোঁকটাকে
প্রকৃতিগত আ=
68;্মপ্রেরণা
বলা যেতে
পারে, এই
আত্মপ্রেরণù=
4; থেকেই
ঐক্যবোধ আসে=
04;
পরমমানবের
সঙ্গে মিলনে=
80;
চেতনাই হল পর=
478;
আধ্যাত্মিক
সত্য।
মানুষের ধর্=
78;
হল সেই
চেতনাকে
কর্মের
মাধ্যমে
সার্থক করে
তোলা। মানুষ
সারাজীবন ধর=
03;
এই ধর্ম পালন
করে থাকে।
বহিরিন্দ্=
80;িয়ের
সাহায্যে
যেমন আমরা
বাইরের জগতে=
80;
সঙ্গে
সম্পর্ক
স্থাপন করি
তেমনি অন্তর=
95;ন্দ্রিয়ের
সাহায্যে
মানুষ
পরমাত্মা অর=
09;থাৎ
বিশ্বমানবেø=
0;
সঙ্গে একাত্=
78;
হওয়ার চেষ্ট=
94;
করে। এইরকম
চেষ্টার
মাধ্যমে
মানুষের সঙ্=
55;ে
বিশ্বমানবেø=
0;
একটা
একাত্মবোধ
তৈরী হয়। এই
একাত্মবোধই
হল মানুষকে
দেয় অমরতা, এই
অমরতা
ব্যক্তিসমূø=
9;ের
কাছে আদর্শ।
রবীন্দ্রনা&=
#2469;
বলেছেন, “এ
আদর্শ একটা
আন্তরিক আহ্=
76;ান,
এ আদর্শ একটা
নিগূঢ়
নির্দেশ। কো=
72;
দিকে নির্দে=
86;।
যে দিকে সে
বিচ্ছিন্ন ন=
27;,
যে দিকে তার
পূর্ণতা, যে
দিকে
ব্যক্তিগত
সীমাকে সে
ছাড়িয়ে চলছে,
যেদিকে বিশ্=
76;মানব।”১
পূর্ণতার
আদর্শ
মানুষের
মধ্যে প্রেম-=
474;্রীতি-ভালবা=
সা
জাগায়।
মানুষের
মধ্যে যে বুদ=
509;ধি,
বল ইত্যাদি
থাকে
সেগুলিকে
মানুষ প্রকা=
86;
করতে চায়।
মানুষের
মধ্যে যে
পূর্ণ সত্তা =
469;াকে
সেটাকে বিকশ=
95;ত
করার জন্য
মানুষ সদা
আগ্রহী। এই
পূর্ণতার
আদর্শই
মানুষকে
সৃষ্টিকর্মú=
3;
প্রেরণা দেয়=
04;
রবীন্দ্রন=
94;থের
মতে মানুষ
সৃজনশীল
প্রাণী। =
সৃজনশীলতায়
মানুষের
যথার্থ
প্রকাশ ঘটে
এবং এখানেই
মানুষ
অন্যান্য সক=
82;
প্রাণীর থেক=
03;
স্বতন্ত্র।
শিল্প,
সাহিত্য,
সঙ্গীত
ইত্যাদির মা=
71;্যমে
মানুষ
স্বধর্মকে
প্রকাশ করে।
তিনি বলেছেন
মানুষের
মধ্যে
ধর্মবোধ
বর্তমান। ধর=
09;মবোধ
হল মহত্তর
শক্তির নিকট
শ্রদ্ধা
নিবেদন। এই
মহত্তর
শক্তির কাছে
মানূষ নিজেক=
03;
তুচ্ছ মনে
করে। এইজন্য
মানুষের
মধ্যে
শ্রদ্ধা
মিশ্রিত ভয় জ=
503;গে
ওঠে। তিনটি
বৃত্তির
মাধ্যমে
মানুষের মনে =
471;র্মবোধ
গড়ে ওঠে। এই
তিনটি বৃত্ত=
95;
হল বুদ্ধিবৃ=
68;্তি,
হৃদয়বৃত্তি =
51;
কর্মবৃত্তিð=
4;
অধ্যাপক হির=
72;্ময়
বন্দোপাধ্যù=
4;য়ের
ভাষায়,
“মানুষের ধর্=
478;
হবে তাই যা
মানুষের
সমগ্র
প্রকৃতিকে ব=
95;কিশিত
করতে সাহায্=
79;
করবে। ধর্মে=
80;
প্রকৃত কাজ
হবে তার তিনট=
495;
মূল বৃত্তির-
বুদ্ধিবৃত্ö=
8;ি,
হৃদয়বৃত্তি =
51;
কর্মবৃত্তিø=
0;
যুগপৎ
সুসামঞ্জস্÷=
9;
পরিবর্ধন
ঘটিয়ে
মানুষকে
পরিপূর্ণ মা=
72;বরূপে
গড়ে উঠতে
সাহায্য করা=
04;”২
মানুষের
গভীর ধীশক্ত=
95;
বিশ্বের
মহাশক্তির
উপস্থিতির
সঙ্গে পরিচয়
ঘটায়।
রবীন্দ্রনাö=
9;
বিশ্বাস
করতেন মানুষ
হল অনন্ত
সম্ভাবনাময়ð=
4;
মানুষের
সীমানা
নির্দিষ্ট
করা যায় না।
মানুষ যেখান=
03;
মুক্ত
সেখানেই
সৃজনশীলতার =
53;্ষেত্র।
মানুষের
শক্তি
প্রয়োজনের
ক্ষেত্রে
নিয়োজিত হয়।
কিন্তু জৈবি=
53;
ক্ষেত্রে
মানুষের শক্=
68;ি
নিঃশেষিত হয়
না এবং এর
বাইরে যে
শক্তি থাকে
যেটা
প্রয়োজনের
অতিরিক্ত
তাকে বলা হয়
উদবৃত্ত। এই
উদবৃত্ত
শক্তির
মাধ্যমে
শিল্প, সাহিত=
509;য
সৃষ্টি হয়।
সৃষ্টিই
হল
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
মতে মানুষের
স্বভাবধর্ম,
সবসময়ই মানু=
87;
নিজেকে
সৃষ্টি করে চ=
482;েছে।
প্রয়োজনবদ্÷=
1;তা
মানুষের
স্বভাব নয়।
মানুষ সৃষ্ট=
95;
করে
প্রতিনিয়তই =
79;া
প্রয়োজনকে
ছাপিয়ে যায়।
মানুষের
মধ্যে বেঁচে
থাকার ইচ্ছা
প্রবল। এই
ইচ্ছাটাই
মানুষকে কাজ
করার
অনুপ্রেরণা
দিয়ে থাকে।
“সংসার মানুষ=
503;র
সত্য পরিচয়ক=
03;
তুচ্ছতার
আবরণ দিয়ে,
অভ্যস্ততার
আবরণ দিয়ে
ঢেকে রাখে। এ=
439;
তুচ্ছতা তার =
459;দ্মবেশ।
প্রতিদিনের
সংসারে মানু=
87;
তুচ্ছতার ভূ=
78;িকায়
ছায়ার মতো
অকিঞ্চিৎকর
হয়ে থাকে। এ
হল মানুষের
তথ্যগত
চেহারা। একে
বলতে পারি
মানুষের
আত্মপ্রকাশú=
3;র
অবস্থা।
তথ্যের
সীমানার মধ্=
79;ে
যতক্ষণ
মানুষকে দেখ=
95;
ততক্ষণ সে
শীর্ণ, সীমিত,
খণ্ডিত,
মেঘাবৃত।”৩=
উপনিষদে
ব্রহ্মস্বরù=
8;পে
সত্য, জ্ঞান ও
আনন্দ এই
তিনটি দিকের
কথা বলা
হয়েছে। একটি =
470;িককে
কেন্দ্র করে
মানুষ বেঁচে
থাকে। এই দিক=
463;ি
হলো জৈবিক
প্রয়োজনের
দিক। দ্বিতী=
27;
দিকে মানুষ
জ্ঞানলাভ
করে। এই দিকট=
495;
হলো মানুষের
সাধনার এবং
তৃতীয় দিকটি=
68;ে
মানুষ
শিল্প-সাহিত=
09;য
রচনা করে।
সৃষ্টিশীল
মানুষই
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
কাছে আদর্শ
মানুষ। মানু=
87;
সবসময়ই
স্বাধীন।
শুধুমাত্র
প্রয়োজনের
জগতে মানুষ
স্বাধীন নয়।
সৃষ্টি ও
স্রষ্টারূপú=
3;ও
মানুষ
স্বাধীন।
মুক্ত মানুষ=
39;
স্বধর্মে
প্রতিষ্ঠিতð=
4;
মানুষ
শিল্পিরূপেó=
9;
যথার্থ
মানুষ। জৈবি=
53;
প্রয়োজনে মা=
72;ুষ
কাজ করে, আর
মানুষ সৃষ্ট=
95;
করে আত্মার
প্রেরণায় যদ=
95;ও
জ্ঞান, শক্তি,
অনুভূতি
মানুষের
কাজকে প্রভা=
76;িত
করার চেষ্টা
করে তথাপি
মানুষের
ইচ্ছাধীন কা=
60;
সম্পূর্ণ
করতে দ্বন্ধ
তৈরী হয়। এই
দ্বন্ধ
মিটিয়ে সকলে=
80;
কল্যাণ সাধন
করাই হল
মানুষের
সত্যিকারের
কাজ।
রবীন্দ্রন=
94;থের
দর্শনে তিন
ধরনের সত্তা=
80;
কথা পাই,
সেগুলি হল-
প্রকৃতিসত্ö=
8;া,
মানবসত্তা ও
পরমসত্তা। এ=
39;
প্রবন্ধে
রবীন্দ্রনাö=
9;
প্রকৃতিসত্ö=
8;া,
পরমসত্তা বল=
68;ে
কি বুঝিয়েছে=
72;
সেই বিষয়ে
আলোকপাত করা
হবে। এখন
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
মতে
প্রকৃতিসত্ö=
8;া,
পরমসত্তা
বিষয়ক
আলোচনায়
অগ্রসর হব।
প্রকৃ=
;তিসত্তা
: ছেলে
বেলা থেকেই
প্রকৃতির সঙ=
09;গে
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
গভীর সংযোগ
লক্ষ্য করা
যায়। তিনি
জীবন শুরু
করেন
প্রকৃতির
সঙ্গে নিবিড়
পরিচয়ের
মাধ্যমে।
‘জীবনস্মৃতি=
68;ে’
পাই তিনি
শিশুকাল
থেকেই
প্রকৃতির
প্রতি তীব্র =
438;কর্ষণ
অনুভব করেন।
তাঁর বাড়ীর
চারপাশে ছিল =
488;বুজের
বিস্তার।
গাছপালা,
বাগানের
ফুলের সৌন্দ=
80;্য
শিশুকাল
থেকেই কবির
আকর্ষণের
বস্তু ছিল। জ=
482;ে
হাঁসের
সাঁতার দেখে
তিনি আনন্দ
পেতেন। বাড়ী=
80;
সীমানায়
সারিবদ্ধ
নারকেল
গাছগুলির প্=
80;তি
তাঁর আকর্ষণ
ছিল। তিনি
প্রতিদিন
ভোরবেলা শয্=
79;া
ত্যাগ করে
বাগানে যেতে
ভুলতেন না।
ভোরের আকাশে=
80;
আনন্দ
অনুষ্ঠানে
তিনি যোগদান
করতেন। একটি
কবিতার মধ্য=
03;
দিয়ে তাঁর সে=
439;
ভাব ফুটে উঠে=
459;ে—
‘আজ
প্রথম ফুলের
পাব
প্রসাদখানি
তাই
ভোরে উঠেছি।
আজ
শুনতে পাব
প্রথম আলোর
বাণী
তাই
বাইরে
ছুটেছি।’৪
প্রভাত
সংগীত-এর
মধ্যে দিয়ে
রবীন্দ্রনাö=
9;
স্রোতের
প্রকৃত
যাত্রা আরম্=
77;
করেছিলেন।
যাত্রাপথের
প্রথম সঙ্গী
প্রকৃতি।
প্রকৃতির কত =
480;ঙ,
কত রূপ, কত
বৈচিত্রের ব=
94;হার।
তিনি শুধু
প্রকৃতির এই
রূপ দেখেই মগ=
509;ন
হননি, তার
পিছনে একটা
প্রচ্ছন্ন
সত্তার উপস্=
69;িতি
লক্ষ্য করেন=
04;
তিনি
‘জীবনস্মৃতি’
গ্রন্থে
বলেছেন—“সদর
স্ট্রীটের
রাস্তাটা
যেখানে গিয়া
শেষ হইয়াছে
সেইখানে বোধ
করি
ফ্রী-ইস্কুল=
03;র
বাগানের গাছ
দেখা যায়।
একদিন সকালে
বারান্দায়
দাঁড়াইয়া আম=
95;
সেই দিকে
চাহিলাম। তখ=
72;
সেই গাছগুলি=
80;
পল্লবান্তরù=
4;ল
হইতে
সূর্যোদয়
হইতেছিল।
চাহিয়া
থাকিতে
থাকিতে হঠাৎ
এক মুহূর্তে=
80;
মধ্যে আমার
চোখের উপর
হইতে যেন একট=
494;
পর্দা সরিয়া
গেল। দেখিলা=
78;,
একটি অপরূপ
মহিমায় বিশ্=
76;সংসার
সমাচ্ছন্ন,
আনন্দে এবং
সৌন্দর্যে
সর্বত্রই তর=
57;্গিত।
আমার হৃদয়ে
স্তরে স্তরে
যে একটা
বিষাদের আচ্=
59;াদন
ছিল তাহা এক
নিমেষেই ভেদ
করিয়া আমার
সমস্ত
ভিতরটাকে
বিশ্বের আলো=
53;
একেবারে
বিচ্ছুরিত
হইয়া পড়িল।”ý=
9;
প্রকৃতির
নানা
সৌন্দর্য্য
রবীন্দ্রনাö=
9;কে
ভীষণভাবে
আকৃষ্ট করতো,
তিনি
শুধুমাত্র
বাইরের রূপ
দেখেই থেমে
থাকেনি,
প্রকৃতির
মধ্যে তিনি এ=
453;
প্রচ্ছন্ন
সত্তাকে
আবিষ্কার
করেছিলেন।
শরতের আকাশে=
80;
মেঘমল্লারেø=
0;
সারি শুধু
তাঁর নয়ন
ভরিয়ে দেয়নি,
তাঁকে ভাসিয়=
03;
দিয়েছে, একথা
ধ্বনিত হয় এক=
463;ি
কবিতার মধ্য=
03;
দিয়ে—
“আজ
ধানের ক্ষেত=
03;
রৌদ্র ছায়ায়
লুকোচ=
;ুরি
খেলা।
নীল
আকাশে কে
ভাসালে
সাদা
মেঘের ভেলা”þ=
0;
বর্ষার
আগমনে নীল
আকাশে সাদা
মেঘ সঞ্চার
পরিবেশকে
মধুর করে তোল=
503;
এবং
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
হৃদয়কে
নাচিয়ে তোলে=
04;
এখানেও তার
পিছনে তিনি এ=
453;
প্রচ্ছন্ন
সত্তার
উপস্থিতি
অনুভব করেন।
তিনি বলেছেন—
“হৃদয়
আমার নাচে রে
আজিকে
ময়ূরে=
;র
মতো নাচে রে,
হৃদয়
নাচে
রে।
শত
বরণের
ভাব-উচ্ছাস
কলাপে=
;র
মতো করেছে
বিকাশ;
আকুল
পরাণ আকাশের
চাহিয়া
উল্লা=
;সে
কারে যাচে রে=
404;
হৃদয়
আমার নাচেরে
আজিকে
ময়ূরে=
;র
মতো নাচে রে।”৭
তিনি
নানা
অভিজ্ঞতার
মাধ্যমে
একদিন প্রচ্=
59;ন্ন
সত্তা
প্রকৃতির
সঙ্গে পরিচি=
68;
হলেন। প্রাচ=
96;ন
বৈদিক ঋষিদে=
80; ন্যায়
তিনিও
উপলব্ধি
করলেন
প্রকৃতির
মধ্যে এক
প্রচ্ছন্ন
সত্তার আভাস=
04;
অধ্যাপক
হিরন্ময় বন্=
70;োপাধ্যায়ের
ভাষায়
“প্রকৃতির
মধ্যে বৃক্ষ=
03;,
লতায়, পত্রে,
পুষ্পে যে
প্রাণ-স্পন্=
70;ন
আমাদের
নয়নরঞ্জন কর=
03;,
তারা সেই
প্রচ্ছন্ন স=
68;্তার
আলোয় চরা
ধেনু। আর গগন=
503;
যে অগণিত
নক্ষত্ররাজù=
5; নিশার
আকাশ
উদ্ভাসিত কর=
03;
তারা সব তাঁর
আলোক ধেনু,
তারা প্রকট,
কিন্তু যিনি
তাদের চরিয়ে
বেড়ান, সেই
রাখালটিকে
দেখা যায় না,
কেবল তাঁর বে=
467;ু
শোনা যায়...”৮ =
span>
পরমসত=
;্তা
: সকল
মানুষের
মধ্যে এমন
একটি সত্তা
আছে যা মানুষ=
503;র
মধ্যে
অবস্থান করে
মানুষকে
অসীমের পথে চ=
494;লিত
করে। এই
সত্তাকে তিন=
95;
পরমসত্তা বল=
03;
অভিহিত করেছ=
03;ন।
তিনি এই
পরমসত্তাকে
উপলব্ধি করে=
39;
সন্তুষ্ট
থাকতে পারলে=
72;
না, তিনি
পরমসত্তাকে
পেতে চাইলেন=
04; রবীন্দ্রনা&=
#2469;
বুঝেছিলেন
সমস্ত বন্ধন
থেকে মুক্তি=
80;
প্রাচীর
পেরিয়ে মানব
জীবনের সেই
পরম আনন্দময়,
সত্তার কাছে
যেতে হবে।
তিনি মনে করে=
459;িলেন
মানুষের
চিন্তাশক্তù=
5;
মানুষের
সম্মুখে যে
সত্য তুলে ধর=
503;
তা হল
কল্যাণকারী
পরমসত্তা।
জগতে সর্বত্=
80;
পরমসত্তার
রূপটি
উদ্ভাসিত হয়=
03;
আছে। এই
পরমসত্তাই
পৃথিবীর পাল=
72;
কর্তা, আর
পরমসত্তাকে
শ্রদ্ধাজ্ঞù=
4;পনই
হল মানুষের ধ=
480;্মবোধ।
কেউ তাঁকে
জ্ঞানশক্তিø=
0;
প্রয়োগ করে
পেতে চেয়েছে=
72;,
কেউ তাঁকে
কর্মের
মাধ্যমে আবা=
80;
কেউ তাঁকে
ভক্তির
মাধ্যমে পেত=
03;
চেয়েছেন।
মানুষের
সঙ্গে
প্রেমের
সম্পর্ক তৈর=
96;
করতে উৎসাহী
এই পরমসত্তা
ব্যক্তিরূপú=
3;
প্রকাশমান, আ=
480;
একে ঘিরেই
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
‘জীবনদেবতা’
তত্ত্ব। তিন=
95;
অনেক জায়গায়
পরমসত্তাকে
‘জীবনদেবতা’
বলে অভিহিত
করেছেন। তিন=
95;
বলেছেন, “এই যে
কবি, যিনি আমা=
2480;
সমস্ত
ভালমন্দ, আমা=
480;
সমস্ত অনুকূ=
82;
ও প্রতিকূল
উপকরণ লইয়া
আমার জীবনকে
রচনা করিয়া চ=
482;িয়াছেন,
তাঁহাকেই
আমার কাব্যে
আমি ‘জীবনদেব=
468;া’
নাম দিয়াছি।”
তিনি
‘জীবনদেবতা’ক=
503;
জীবনের
কর্ণধার বলে
মনে করতেন। এ=
439;
জীবনদেবতা
মানুষের
মধ্যেই
অবস্থান
করেন। একই
সাথে তিনি
জীবনের
অন্তর্বর্তù=
6;
ও অতিবর্তী।
মানুষের
সঙ্গে তাঁর
সম্পর্কটি হ=
82;
পরিচালক ও অভ=
495;নেতার
মতো। পরিচাল=
53;
ও অভিনেতা
দুজনেই ব্যক=
09;তিরূপীসত্ত=
2494;।
দুজনের মধ্য=
03;
প্রীতির সম্=
74;র্ক।
পরিচালক
অভিনয় করেন
না, অভিনেতাক=
503;
দিয়ে অভিনয় ক=
480;ান।
অভিনেতা ভাল
অভিনয় করলে
পরিচালক তৃপ=
09;তি
পান, আনন্দ
পান আবার
খারাপ অভিনয়
করলে বেদনা
পান। পরিচাল=
53;
অভিনেতার
ভিতর দিয়ে
নিজের তৃপ্ত=
95;
খোঁজেন।
অনুরূপভাবে
জীবন দেবতা
জীবনের
অভিনয়েও আছে=
72;
এবং বাইরেও
আছেন। তিনি
ব্যক্তি
মানুষকে
সাহায্যের
হাত বাড়িয়ে
দিয়ে নিজের
ইচ্ছা পূরণে=
80;
চেষ্টা করেন=
04;
রবীন্দ্রনাö=
9;
বলেছেন—“সেদি=
472;
হঠাৎ অত্যন্=
68;
নিকটে
জেনেছিলুম,
আপন সত্তার ম=
471;্যে
দুটি
উপলব্ধির দি=
53;
আছে। এক, যাকে
বলি, আমি; আর
তারই সঙ্গে
জড়িয়ে মিশিয়=
03;
যা-কিছু, যেমন &=
#2438;মার
সংসার, আমার
দেশ, আমার
ধনজনমান, এই
যা-কিছু নিয়ে
মারামারি
কাটাকাটি
ভাবনা-চিন্ত=
94;।
কিন্তু,
পরমপুরুষ
আছেন
সেই-সমস্তকে
অধিকার করে
এবং অতিক্রম
করে, নাটকের
স্রষ্টা ও
দ্রষ্টা যেম=
72;
আছে নাটকের
সমস্তটাকে
নিয়ে এবং তাক=
503;
পেরিয়ে।<=
/span>”১০
এই
‘জীবনদেবতা’
তত্ত্বটি
একদিনে গড়ে
ওঠেনি, ধীরে
ধীরে মনের
মধ্যে ঘুরপা=
53;
খেতে খেতে
একদিন হঠাৎ
করে তাঁর
আত্মপ্রকাশ
ঘটলো- এবিষয়ে
তিনি হিবার্=
63;
বক্তৃতামালù=
4;য়
এর উল্লেখ
করেছেন।
এই
‘জীবনদেবতা’
রূপী
পরমসত্তাটি
ব্যক্তিরূপù=
6;
ঈশ্বর হয়ে তা=
480;
হৃদয়ের মধ্য=
03;
অবস্থান করছ=
03;ন।
ইনি জগতের
সৃষ্টিকর্তù=
4;
হলেও ভক্তদে=
80;
সঙ্গে
প্রেমের
বন্ধনে আবদ্=
71;
হতে চান।
ভক্তের জীবন
সার্থক হলেই
তাঁর নিজের
সার্থকতা।
রবীন্দ্রনাö=
9;
বলেছেন—
“তাই
তোমার আনন্দ
আমার পর
তুমি
তাই এসেছ
নীচে।
আমায়
নইলে
ত্রিভূবনেশú=
9;বর,
তোমার
প্রেম হত যে
মিছে।”১১
রবীন্দ্রন=
94;থের
কল্পনার এই হ=
482;
সীমার মাঝে অ=
488;ীমের
লীলা। এখানে
ঈশ্বর ও ভক্ত
উভয়ে মিলে ভক=
509;তের
জীবনকে
পরিস্ফুট
করেছেন।
ভক্তের জীবন=
03;র
কর্মপ্রবাহú=
3;র
মধ্যে দিয়ে
ঈশ্বরেরই
ইচ্ছা প্রকা=
86;িত
হচ্ছে।
রবীন্দ্রন=
94;থের
‘জীবনদেবতা’
তত্ত্বের
সঙ্গে বাউলদ=
03;র
সাধন
তত্ত্বের
ভীষণ রকম মিল
দেখা যায়।
বাউলরা
পরমসত্তাকে
ব্যক্তিতে
ভূষিত করে
হৃদয়ে
প্রতিষ্ঠিত
করে তাঁর পূজ=
507;
করে। বাউলরা
তাঁকে
‘নরনারায়ণ’
বলে সম্বোধন
করেন। বাউলর=
94;
বিশ্বাস করত
তিনি অরূপ
আকারে মানুষ=
03;র
হৃদয়ের মধ্য=
03;
আছেন।
বাউলারা একে
‘মনের মানুষ’
বলেও অভিহিত
করেন।
রবীন্দ্রন=
94;থ
‘সৌন্দর্য’
নামক
প্রবন্ধে
উল্লেখ
করেছেন
বিশ্বদেবতা =
51; জীবনদেবতা
একই সত্তা,
কিন্তু
তাঁদের
বিভিন্ন
পর্যায়ে
বিভিন্ন রূপ=
03;
প্রকাশ ঘটে।
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
চিন্তায়
পরমসত্তা
দুটি স্তরে
প্রকাশিত হয়=
04;
একটি বিশ্বে=
80;
নিয়মক
শক্তিরূপে,
একে তিনি
সত্যের
প্রকাশ বলে
স্বীকার
করেছেন। =
এখানে
তার কাজ
নৈর্ব্যক্তù=
5;ক
সত্তার মতো।
আর একটি
প্রকাশ
আনন্দরূপে।
এখানে তিনি ম=
494;নুষের
প্রেম ভিক্ষ=
94;
করেছেন,
বিশ্বজগতে
নানা
সৌন্দর্য
স্থাপন করে
ভক্তকে
বলেছেন তোমা=
80;
প্রেম আমায় দ=
494;ও,
আমার প্রেম
তোমায়
দিচ্ছি।
এখানে তিনি ব=
509;যক্তি
মানুষের
প্রেম ভিক্ষ=
94;
করেছেন।
রবীন্দ্রনাö=
9;
বলেছেন,
“...বিশ্বপ্রকৃ&=
#2468;িতে
সত্যের
মূর্তি দেখত=
03;
পাই নিয়মে,
এবং আনন্দের =
478;ূর্তি
দেখি
সৌন্দর্য্যú=
3;।
এইজন্য
সত্যরূপের
পরিচয় আমাদে=
80;
পক্ষে অত্যা=
76;শ্যক,
আনন্দের
পরিচয় আমাদে=
80;
না হলেও চলে।
প্রভাতে
সূর্যোদয়ে
আলো হয়, এই
কথাটা জানা
এবং এটাকে
ব্যবহারে লা=
55;ানো
আমাদের
নিতান্ত
দরকার; কিন্ত=
497;
প্রভাত যে সু=
472;্দর
সুপ্রশান্ত,
এটুকু না
জানলে আমাদে=
80;
কোন কাজের
ক্ষতিই হয়
না।”১২
রবীন্দ্রন=
94;থের
এই
‘জীবনদেবতা’
তত্ত্বের সঙ=
09;গে
উপনিষদের
সর্বেশ্বরবù=
4;দের
অনেক মিল পাও=
527;া
যায়। এই
তত্ত্বের
দুটি রূপ আছে=
404;
একটি রূপ উপন=
495;ষদের
সর্বেশ্বরবù=
4;দের
মত একটি
প্রচ্ছন্ন
নৈর্ব্যক্তù=
5;ক
সত্তাকে
স্বীকার করে,
অন্য রূপটি
বৈষ্ণবদের
দ্বৈতবাদের
মতো ভগবান ও
ভক্তের ব্যক=
09;তিরূপে
দুটি আলাদা
সত্তা
স্বীকার করে=
04;
ভগবান একরূপ=
03;
মানুষের
প্রেমভিক্ষù=
4;
করে এবং অন্য=
480;ূপে
বেদান্তের
সকল বস্তুর
ধারক সত্তা।
রবীন্দ্রনাö=
9;
বলেছেন—
“আমায়
নিয়ে মেলেছ এ=
439;
মেলা,
আমার
হিয়ায় চলছে
রসের খেলা,
মোর
জীবনে
বিচিত্ররূপ
ধরে
তোমার
ইচ্ছা
তরঙ্গিছে।”১=
;৩
এ
প্রসঙ্গে
জীবনদেবতা
তত্ত্বের
সঙ্গে বৈষ্ণ=
76;
সাধন
তত্ত্বের
সাদৃশ্যের
কথা বলা যেতে
পারে।
ভগবানের
সঙ্গে চারটি
রূপের কথা
চৈতন্যচরিতù=
4;মৃতে
বলা আছে। এই
চারটি রূপ হল
দাস্য, সখ্য,
বাৎসল্য এবং
শৃঙ্গার।
শৃঙ্গারকে
মধুর রস বলা
হয়ে থাকে।
দাস্য
ভগবানকে
প্রভু হিসাব=
03;,
সখ্যে বন্ধু
হিসাবে,
বাৎসল্য পিত=
94;,
মাতা রূপে এব=
434;
শৃঙ্গারে
ভগবানের
সঙ্গে
মানুষের
প্রেম-প্রীত=
95;র
কথা উল্লেখ
করা হয়েছে। ম=
471;ুর
রসের সাধনা
বলতে
শ্রীরাধার
সাধনার কথা ব=
482;া
হয়েছে।
অধ্যাপক
হিরন্ময়
বন্দোপাধ্যù=
4;য়ের
ভাষায়,
“জীবনদেবতা-ত=
468;্ত্বের
সঙ্গে মধুর র=
488;ের
সাধনার মিলও
আছে আবার
অমিলও আছে। ম=
495;ল
এই জন্য যে
উভয়
ক্ষেত্রেই
প্রীতি
পরিপূর্ণতম =
80;ূপে
প্রবাহিত
হবার সুযোগ
পায়। কিন্তু
দুই তত্ত্বে=
80;
মধ্যে বড়
রকমের
পার্থক্যও
আছে। রাধাভা=
76;ে
সাধনায় ঠিক
সাম্যের ভাব
পাওয়া যায় না;
তাঁর দয়িত যে=
472;
তাঁর থেকে বড়,
এই ধরনের একট=
494;
চিন্তা
বৈষ্ণব
সাধনশাস্ত্ø=
0;ে
পরিলক্ষিত
হয়।
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
পরিকল্পনায় =
88;্বাতন্ত্র্=
2479;
আছে। এখানে
বলা হয়েছে
রাজার রাজা
হয়েও
জীবনদেবতা
ভক্তের
প্রেমের
ভিখারী। এই
চিন্তায়
সাম্যের বোধ
অত্যন্ত
প্রকট।”১৪
পরমসত্তার
স্পর্শ
পাওয়াই হল
মানব জীবনের
পূর্ণতা।
রবীন্দ্রনাö=
9;
বলেছেন—“কাল
সন্ধ্যা থেক=
03;
এই গানটি
কেবলই আমার
মনের মধ্যে
ঝংকৃত হচ্ছে-
বাজে বাজে
রম্যবীণা
বাজে।... কাল
রাত্রে ছাদে
দাঁড়িয়ে
নক্ষত্রলোকú=
3;র
দিকে চেয়ে
আমায় মন
সম্পূর্ণ
স্বীকার
করেছে। বাজে
বাজে
রম্যবীণা
বাজে। এ কবি
কথা নয়, এ
বাক্যালংকাø=
0;
নয় – আকাশ এবং
কালকে
পরিপূর্ণ কর=
03;
অহোরাত্র
সংগীত বেজে
উঠেছে।
বাতাসে যখন
ঢেউয়ের সঙ্গ=
03;
ঢেউ সুন্দর
করে খেলিয়ে
ওঠে তখঞ্জ তা=
470;ের
সেই আশ্চর্য
মিলন এবং
সৌন্দর্য
আমাদের চোখ
দেখতে পায় না,
আমাদের কানে=
80;
মধ্যে সেই
লীলা গান হয়ে
প্রকাশ পায়।...
এই প্রকাণ্ড
বিপুল
বিশ্ব-গানের
বন্যা যখন
সমস্ত আকাশ
ছাপিয়ে আমাদ=
03;র
চিত্তের
অভিমুখে ছুট=
03;
আসে তখন তাকে
এক পথ দিয়ে
গ্রহণ করতেই
পারি নে, নানা
দ্বার খুলে
দিতে হয় চোখ দ=
2495;য়ে,
কান দিয়ে, নাক
দিয়ে,
স্পর্শেন্দú=
9;রিয়
দিয়ে, নানা
দিক দিয়ে তাক=
503;
নানা রকম করে
নিই। এই একতা=
472;
মহাসংগীতকে
আমরা দেখি,
শুনি, ছুঁই,
শুঁকি, আস্বা=
470;ন
করি।”১৫
এখানে
তিনি যে
মহাসংগীতের
সুর শুনতে
পাচ্ছেন আসল=
03;
সেটা
পরমসত্তার
ডাক। এখানে স=
476;
মিলেমিশে
পরমসত্তায়
পরিণত হয়েছে=
04;
তিনি বলেছেন
তুমি, আমি, কেউ
নেই, আছে শুধু
বীণা, এখানে
তিনি বীণা বল=
468;ে
পরমসত্তাকেó=
9;
সূচীত
করেছেন। তিন=
95;
একটি গানের
মধ্যে দিয়ে
বলেছেন—
“শুধু
তোমার বাণী ন=
527;
গো, হে বন্ধু,
হে প্রিয়,
মাঝে
মাঝে প্রাণে
তোমার
পরশখানি
দিয়ো...
হৃদয়
আমার চায় যে
দিতে, কেবল
নিতে নয়,
বয়ে
বয়ে বেড়ায় সে
তার যা- কিছু
সঞ্চয়।
হাতখান=
95;
ওই বাড়িয়ে
আনো, দাও গো
আমার হাতে—
ধরব
তারে, ভরব
তারে, রাখব
তারে সাথে,
একলা
পথের চলা আমা=
480;
করব রমণীয়।।”
পরমসত্তাক=
03;
তিনি বন্ধু
বলে আরাধনা
করেছেন, বন্ধ=
497;
ক্ষণিক
স্পর্শ দিয়ে
তার অনন্ত
পথচলাকে সুন=
09;দর
করে তোলে।
বন্ধুর নিবি=
24;
আত্মীয়তা, সহ=
458;র্য
তাঁর
আধ্যাত্মিক
জীবনে প্রভা=
76;
ফেলেছে, তাই
তিনি
পরমসত্তাকে
বন্ধুরূপে
কল্পনা করেছ=
03;ন।
বন্ধুর সঙ্গ=
03;
হাতে হাত রেখ=
503;
পথ চলতে
চেয়েছেন।
তিনি বলেছেন—
“বন্ধù=
7;
রহো রহো সাথে
আজি এ
সঘন
শ্রাবণপ্রাö=
8;ে।
ছিলে
কি মোর স্বপন=
503;
সাথিহারা
রাতে।।
বন্ধু=
;,
বেলা বৃথা যা=
527;
রে
আজি এ
বাদলে আকুল
হাওয়ায় রে—
কথা কõ=
1;
মোর হৃদয়ে,
হাত রাখো
হাতে।।”১৭
তথ্যস=
;ূত্র
১।
মানুষের ধর্=
78;,
রবীন্দ্র-রচ=
72;াবলী,
দশম খণ্ড,
বিশ্বভারতী,
পৃষ্ঠা-৬২১।
২।
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
মানবিকতা,
হিরন্ময়
বন্দ্যোপাধú=
9;যায়,
পৃষ্ঠা-২২।
৩।
সাহিত্যচিনú=
9;তা,
সত্যেন্দ্র÷=
2;াথ
রায়, পৃষ্ঠা-৭=
2540;
থেকে উদ্বৃত=
04;
৪।
গীতিমাল্য,
দুই সংখ্যক
কবিতা,
রবীন্দ্র-রচ=
72;াবলী,
ষষ্ঠখণ্ড,
বিশ্বভারতী,
পৃষ্ঠা-১০৫।
৫।
জীবনস্মৃতি, =
480;বীন্দ্র-রচন=
াবলী,
নবম খণ্ড,
বিশ্বভারতী,
পৃষ্ঠা-৪৯২।
৬।
গীতাঞ্জলী, ৮ =
2488;ংখ্যক
কবিতা,
রবীন্দ্র-রচ=
72;াবলী,
ষষ্ঠখণ্ড,
বিশ্বভারতী,
পৃষ্ঠা-১৬।
৭। নববর=
509;ষা,
‘ক্ষণিকা’
কাব্যগ্রন্ö=
9;,
রবীন্দ্র-রচ=
72;াবলী,
চতুর্থ খণ্ড,
বিশ্বভারতী,
পৃষ্ঠা-২৩১।
৮।
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
মানবিকতা, হি=
480;ন্ময়
বন্দ্যোপাধú=
9;যায়,
পৃষ্ঠা-৩০।
৯।
আত্মপরিচয়,
রবীন্দ্র-রচ=
72;াবলী,
চতুর্দশ খণ্=
65;,
বিশ্বভারতী,
পৃষ্ঠা-১৩৯।
১০।
মানবসত্য,
মানুষের ধর্=
78;,
দশম খণ্ড,
বিশ্বভারতী,
পৃষ্ঠা-৬৫৮।
১১।
গীতাঞ্জলী,
১২১ সংখ্যক
কবিতা,
রবীন্দ্র-রচ=
72;াবলী,
ষষ্ঠখণ্ড,
বিশ্বভারতী,
পৃষ্ঠা-৮১।
১২। সৌন=
509;দর্য,
শান্তিনিকেö=
8;ন
গ্রন্থ,
রবীন্দ্র-রচ=
72;াবলী,
সপ্তম খণ্ড,
বিশ্বভারতী,
পৃষ্ঠা-৫৬৯।
১৩।
গীতাঞ্জলী,
১২১ সংখ্যক
কবিতা,
রবীন্দ্র-রচ=
72;াবলী,
ষষ্ঠখণ্ড,
বিশ্বভারতী,
পৃষ্ঠা-৮১।
১৪।
উপনিষদ ও
রবীন্দ্রনাö=
9;,
হিরন্ময়
বন্দ্যোপাধú=
9;যায়,
পৃষ্ঠা-৫০।
১৫।
শোনা,
শান্তিনিকেö=
8;ন
গ্রন্থ,
রবীন্দ্র-রচ=
72;াবলী,
সপ্তমখণ্ড,
বিশ্বভারতী,
পৃষ্ঠা-৫৪৫-৪=
540;।
১৬।
গীতবিতান,
রবীন্দ্রনাö=
9;
ঠাকুর,
পৃষ্ঠা-৭৭।
১৭। ঐ,
পৃষ্ঠা-৪০১।
গ্রন্=
;থপঞ্জী
১। ঘটক,
কল্যাণীশঙ্õ=
3;র,
মানুষের ধর্=
78;
ও রবীন্দ্রদ=
80;্শন,
রত্নাবলী,
কলকাতা, ২০১৩=
404;
২।
চৌধুরী,
অমিতাভ,
রবীন্দ্রনাö=
9;
ঠাকুর দর্শন=
58;িন্তা
এবং সাহিত্য
বিচার, এন এ
পাবলিশার্স, =
453;লকাতা,
প্রথম
প্রকাশ-২০১০=
04;
৩।
চক্রবর্তী,
বসুধা,
মানবতাবাদ,
দীপায়ন, কলকা=
468;া,
দ্বিতীয়
সংস্করণ-১৯৯=
41;।
৪। নিয়গী,
গৌতম,
রবীন্দ্রনাö=
9;
ও মানুষের
ধর্ম, অভিযান
পাবলিশার্স,
প্রথম
প্রকাশ-১৪২০=
04;
৫।
পোদ্দার,
অরবিন্দ,
মানবধর্ম ও
বাংলা কাব্য=
03;
মধ্যযুগ,
পুস্তক বিপণ=
95;,
কলকাতা, পঞ্চ=
478;
মুদ্রণ-১৯৯৯=
04;
৬। ঘোষ, পীযুষকান্তù= 5;, মানবধর্ম, ব্যানার্জী = 74;াবলিশার্স, কলকাতা, প্রথ= 478; প্রকাশ-১০ই জুন, ২০০২-০৩। <= o:p>
৭।
রবীন্দ্র-রচ=
72;াবলী
(দ্বিতীয়,
চতুর্থ,
সপ্তম, দশম ও
চতুর্দশ খণ্=
65;),
বিশ্বভারতী,
পুনঃমুদ্রণ,
পৌষ ১৪১৭।
৮।
বন্দ্যোপাধú=
9;যায়,
হিরন্ময়,
উপনিষদ্ ও
রবীন্দ্রনাö=
9;,
নবপত্র
প্রকাশনী,
কলকাতা, তৃতী=
527;
মুদ্রণ ২৫শে
জানুয়ারী,
১৯৯৫।
রবীন=
;্দ্র
ভাবনায়
প্রকৃতিসত্ö=
8;া
ও পরমসত্তা=
=
সুজিত
কুমার মন্ডল