MIME-Version: 1.0 Content-Type: multipart/related; boundary="----=_NextPart_01D2338A.7D61F1C0" This document is a Single File Web Page, also known as a Web Archive file. If you are seeing this message, your browser or editor doesn't support Web Archive files. Please download a browser that supports Web Archive, such as Windows® Internet Explorer®. ------=_NextPart_01D2338A.7D61F1C0 Content-Location: file:///C:/0CB3E8D1/1.Pakeejamanjarichdy1.htm Content-Transfer-Encoding: quoted-printable Content-Type: text/html; charset="windows-1252"
atidhwani the Ec=
ho
A Peer-Reviewed International Journal of
Humanities & Social Science
=
=
IS=
SN: 2278-5=
264 (Online) 2321=
-=
93=
19 (Print)
=
=
Im=
pact Factor: 6.=
28 (=
I=
ndex Copernicus
International)
=
=
Volume=
-V, Issue-II,
October 2016, Page No. 1-12
Publish=
ed by Dept.
of Bengali, Karimganj College, Karimganj,
Assam, India<=
span
style=3D'font-family:"Cambria","serif";mso-fareast-font-family:"Times New R=
oman";
mso-bidi-font-family:Cambria;mso-bidi-language:BN-BD'>
Website: =
i>http://www.thecho.in
<=
span
lang=3DBN-BD style=3D'font-size:18.0pt;mso-ansi-font-size:16.0pt;font-famil=
y:BenSen;
mso-bidi-language:BN-BD'>বিদ্যাপ&=
#2468;ি
প্রসঙ্গে
রবীন্দ্রনাö=
9;
<=
span
lang=3DBN-BD style=3D'font-size:16.0pt;font-family:BenSen;mso-bidi-language=
:BN-BD'>পাকীজা
মঞ্জরী
চৌধুরী
<=
span
lang=3DBN-BD style=3D'font-size:14.0pt;font-family:BenSen;mso-bidi-language=
:BN-BD'>গবেষক,
বাংলা বিভাগ,
বিশ্বভারতী, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্=
55;, ভারত
<=
i>Abstract
The main th=
eme
of this article centres round the poet’s various
thought on Vidyapati which are mainly found in =
his
various essays. In the beginning of the article deep interest in the object=
has
been initiated into the poet’s first intimacy with Vid=
yapati,
the first knowledge with Vidyapati at the same =
time
has been said in the beginning with quotations. After t=
hat
twelve articles relevant to Vidyapati has been
discussed.
Those artic=
les
are : Bhubanmohini Prativa=
Abosor Sarojini O =
Duhkhosangini(1287), Prachin Kabyo Sangraha/ Vidyapati (1288), Vidyapatir Parishisto (1288), Chandidas O Vidyapati (1288), Basantaray
(1289), Dub Deoya: Dubibar=
Sthan (1291), Vidyapatir =
Radhika (1298), Kabyer Tatparjyo (1304), Sahityo=
Sristi (1314), Shraban Sandhya (1317), Tatthyo O=
Sattyo (1331), Sahityorup=
(1335).
In those articles, Rabindranath uncovered the creative side of Vidyapati. In one or two articles in the beginning, t=
here
are negative comments though, in the other wise, almost all discussion of
Rabindranath hab been very much positive, which
indicate maturity of his thought about Vidyapati=
span>.
At the end of this article, some Maithili poerty of Vidyapati along with the Bengali translation done by
Rabindranath is included to show Rabindranath’s sincere interest towards Vidyapati.
Key Word: =
Vidyapati,
Rabindranath, Voishnob, Pr=
obondho,
Podaboli sahity
=
80;বীন্দ্রনাথ=
2503;র
সঙ্গে বৈষ্ণ=
76;
পদাবলীর যোগ
সুদীর্ঘ ও
সুনিবিড়।
তাঁর রচনায়
প্রাচীন ও
মধ্যযুগের ব=
94;ংলা
সাহিত্যের
গভীর
প্রভাবের কথ=
94;
সাহিত্যানুø=
0;াগী
পাঠকমাত্রেø=
0;ই
জানা। তবে বা=
434;লা
সাহিত্যের
বিভিন্ন
শাখার মধ্যে
সবচেয়ে বেশি
প্রভাব রয়েছ=
03;
বৈষ্ণব পদসা=
89;িত্যের—এ
কথা
নিঃসন্দেহে
বলা চলে।
=
74;দাবলী
সাহিত্য নিয়=
03;
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
নানা চিন্তা=
77;াবনার
ফসল ছড়িয়ে আছ=
503;
তাঁর
সমালোচনামূø=
2;ক
প্রবন্ধ ও
সৃজনশীল
সাহিত্যের
আনাচে
কানাচে।
কোথাও বৈষ্ণ=
76; কবি
তো কোথাও আবা=
480;
বৈষ্ণব পদ
হয়েছে সেইসব
রচনার বিষয়।
এই রচনাগুলি
পর্যালোচনা =
53;রলে
দেখা যায়,
চৈতন্য-পূর্=
76;বর্তী
কবি বিদ্যাপ=
68;ির
প্রতি
রবীন্দ্রনাö=
9; কিছুটা
বেশি আগ্রহ
দেখিয়েছেন।
নানাভাবে তা=
33;র
বিদ্যাপতি
বিষয়ক
চিন্তার
প্রকাশ ঘটেছ=
03;
বিশেষত
প্রবন্ধধর্÷=
8;ী
রচনায়। প্রথ=
78;
বয়সের রচনায়
বিরূপ
সমালোচনাও য=
03;মন
লক্ষ করা যায়,
তেমনি আবার
পরবর্তীতে
তাঁর প্রবন্=
71;-গল্প-কবিতায়
বিদ্যাপতির
কবিতা থেকে
বহুল উদ্ধৃত=
95;-প্রয়োগও
বিস্ময়ের
উদ্রেক করে।
=
80;বীন্দ্রনাথ=
2503;র
সঙ্গে
বিদ্যাপতির
গভীর সংযোগে=
80;
বিষয়টিকে
স্পষ্ট করার
জন্য তাঁর
প্রবন্ধসাহù=
5;ত্যের
দিকে ফিরে
তাকানো
একান্ত
প্রয়োজন।
এইসব রচনার
মধ্যে যেমন
রয়েছে বিদ্য=
94;পতির
কাব্যপ্রতি÷=
7;ার
মূল্যায়ন,
তেমনি আছে
সমালোচনা ও অ=
472;্য
বৈষ্ণব কবির
সঙ্গে
তুলনামূলক আ=
82;োচনা।
এছাড়াও রয়েছ=
03; বিদ্যাপতির
মৈথিলী পদের
রবীন্দ্রনাö=
9;-কৃত
তর্জমা—যা এই
নিবন্ধের সর=
09;বশেষ
স্তরে অন্তর=
09;ভুক্ত
করা হয়েছে।
=
80;বীন্দ্রনাথ=
2503;র
প্রথম পদাবল=
96;র
সান্নিধ্যলù=
4;ভ
এবং
বিদ্যাপতির
পদাবলীর
প্রথম পাঠ
ঘটনাক্রমে
একই সঙ্গে। ১৮৭৪ সালú=
3;
রবীন্দ্রনাö=
9;
সর্বপ্রথম
পদাবলীর
সংস্পর্শে
আসেন। সে ø=
8;ম্পর্কে
সর্বাপেক্ষù=
4;
নির্ভরযোগ্÷=
9;
সূত্র পাওয়া
যায় তাঁর জীব=
নস্মৃতি
গ্রন্থের
‘ঘরের পড়া’ অধ্&=
#2479;ায়ে:
=
80;বীন্দ্রনাথ=
2503;র
প্রথম
সমালোচনামূø=
2;ক
প্রবন্ধ— ভুব=
নমোহিনী
প্রতিভা, অবস=
480;
সরোজিনী ও
দুঃখসঙ্গিনù=
6;—
এই শিরোনামে =
জ্ঞানাঙ্কুø=
0;
ও প্রতিবিম্=
76;
পত্রিকায়
১২৮৭ সালের
কার্ত্তিক
সংখ্যায় প্র=
53;াশিত
হয়।
প্রবন্ধটিতú=
3;
শ্রীচৈতন্য, জয়দেব, ও
চণ্ডীদাসের
সঙ্গে
বিদ্যাপতির =
74;্রসঙ্গও
বেশ মুন̖শিয়ানার
সঙ্গে
উত্থাপন করা
হয়েছে। পনের=
07;
বছরের কিশোর
সমালোচক এই
রচনাটিতে
গীতিকাব্যেø=
0;
আলোচনা প্রস=
57;্গে
যা লিখেছেন,
আজকের দিনেও
তার গুরুত্ব
অপরিসীম: “...এই
গীতিকাব্যই
চৈতন্যের
ধর্ম
বঙ্গদেশে বদ=
09;ধমূল
করিয়া
দিয়াছে।
...জয়দেব,
বিদ্যাপতি,
চণ্ডীদাসের
লেখনী হইতে
প্রেমের
অশ্রু নিঃসৃ=
68;
হইয়া বঙ্গদে=
86;
প্লাবিত
করিয়াছে এবং
এই নিমিত্তই
প্রেম প্রধা=
72;
বৈষ্ণব ধর্ম
বঙ্গদেশে
আবির্ভূত
হইয়াছে ও
আধিপত্য লাভ
করিয়াছে।”
উনিশ শতকের
আধুনিক
কবিদের
সম্পর্কে
বলতে গিয়ে আর=
451;
একবার
উল্লিখিত
হয়েছে
বিদ্যাপতির
কথা:
“আজকাল
মহাকাব্যের
এত বাহুল্য
হইয়াছে যে যি=
472;িই
এখন কবি হইতে
চান তিনিই
একখানি
গীতিকাব্য ল=
95;খিয়াই
একখানি করিয়=
94;
মহাকাব্য
বাহির করেন, ক=
2495;ন্তু
তাঁহারা
মহাকাব্যে
উন্নতি লাভ
করিতে
পারিতেছেন ন=
94;
ও পারিবেন না=
404;
যদি
বিদ্যাপতি-জ=
27;দেবের
সময় তাঁহাদে=
80;
মনের এখনকার
ন্যায় অবস্থ=
94;
থাকিত তবে
তাঁহারা হয়ত
উৎকৃষ্ট
মহাকাব্য
লিখিতে
পারিতেন।”
ý=
5;২৮৮
সালের শ্রাব=
67;
সংখ্যা ভারত&=
#2496;
তে তিনি
সারদাচরণ ও
অক্ষয় সরকার
সম্পাদিত প্&=
#2480;াচীন
কাব্য সংগ্রহ -এর
প্রথম খণ্ড ব=
িদ্যাপতির
পদাবলী =
বিষয়ে
সমালোচনা
শুরু করেন।
বলা যায় এটিই
রবীন্দ্রনাö=
9;-ক=
99;ত
প্রথম বৈষ্ণ=
76;
পদাবলীর
সমালোচনা।
অক্ষয়চন্দ্ø=
0;
সরকারের
সম্পাদনায়
এবং সারদাচর=
67;
মিত্রের
সহযোগিতায়
চুঁচুড়া থেক=
03;
প্রকাশিত প্&=
#2480;াচীন
কাব্য সংগ্র=
89;
দুই খণ্ডে
প্রকাশিত হয়=
04;
তার মধ্যে
বিদ্যাপতির
পদাবলী
সম্বলিত প্র=
69;ম
খণ্ড ১৮৭৪ সা=
482;ের
ডিসেম্বর
মাসে
প্রচারিত হয়=
04;
১৮৮১ সালের
শ্রাবণ মাসে =
ভারতীতে
রবীন্দ্রনাö=
9;
তার সমালোচন=
94;
করেন এবং সম্=
474;াদনা-রীতি
ও অর্থ-ব্যাখ=
509;যার
অনেক ত্রুটি
দেখিয়ে দেন। =
ভারতীতে
প্রবন্ধটির
শিরোনাম ছিল =
প্রাচীন
কাব্য সংগ্র=
89;/
(বিদ্যাপতি)। সম্প্রতি
এই সম্পূর্ণ
প্রবন্ধটি বিশ্ব÷=
7;ারতী
থেকে
প্রকাশিত কা&=
#2482;ানুক্রমিক র&=
#2476;ীন্দ্র
রচনাবলী ২য়
খণ্ডের
অন্তর্ভুক্ö=
8;
হয়েছে।
প্রবন্ধটির =
88;ূচনা
অংশ থেকে কিছ=
497;
অংশ উদ্ধৃত
করা গেল:
“বিদ্যাপতির
ন্যায় অমন
একজন
লোকপ্রিয়
কবির পদসমূহ
একত্রে
পুস্তকাকারú=
3;
সংগৃহীত হইল,
তাহার টীকা,
অর্থ, পাঠ-বিভ=
2503;দ
ও (স্থানে
স্থানে)
ব্যাকরণের
সূত্র বাহির
হইল, তথাপি
তাহা লইয়া
একটা আন্দোল=
72;
উপস্থিত হইল
না, ইহা কেবল
বাঙ্গালা
দেশের জল বাত=
494;সের
গুণে।
...বঙ্গভাষা
যাহাদের নিক=
63;
নিজের অস্তি=
68;্বের
জন্য ঋণী, এমন
সকল পূজনীয়
প্রাচীন কবি=
70;িগের
কবিতা সকলের
প্রতি যে-সে
যেরূপ ব্যবহ=
94;রই
করুক না, আমরা
কি নিশ্চেষ্=
63;
হইয়া চাহিয়া থাকিব?
তাহারা কি
আমাদের আদরে=
80;
সামগ্রী নহে?” ত=
94;রপর
রবীন্দ্রনাö=
9;
ঈষৎ
পরোক্ষভাবে
কবিতাবলীর
টীকা
প্রকাশের
পাঁচটি
পরিহার্য
দোষের উল্লে=
54;
করেন: ১/
ব্যাকরণ
বিরুদ্ধ অর্=
69;
ব্যাখ্যা ২/ স্বভ=
2494;ববিরুদ্ধ
ব্যাখ্যা ৩/ সহজ
শ্লোকের
প্যাঁচালো
ব্যাখ্যা =
span> <=
/span>৪/ দুরূহ
শ্লোক
সম্পর্কে
নীরবতা ৫/ সংশয়=
503;র
স্থানে
নিঃসংশয়িত
হওয়া।। তখনো
কোন ভালো
অভিধান
ছিলনা। খুবই
পরিশ্রম করে
তিনি দুরূহ
শব্দের অর্থ
ব্যাখ্যা
করেছিলেন। এ=
39;
সমালোচনা
সম্পর্কে
রবীন্দ্রজী÷=
6;নীকার
প্রভাতকুমাø=
0;
মুখোপাধ্যাü=
7;ের
দাবি: “বৈ=
87;্ণব
পদাবলী ও
পদকর্তাদের
সম্বন্ধে এম=
72;
সূক্ষ্ম
সমালোচনা
ইতিপূর্বে
বাংলায়
প্রকাশিত
হইয়াছিল কি ন=
494;
সন্দেহ।” <=
/span>এখানে
দৃষ্টান্ত
হিসেবে
সমালোচনার
মধ্যবর্তী
কিছু অংশ
উদ্ধৃত করা হ=
482;:
“পুস্তকে
নিবিষ্ট
প্রথম গীতিত=
03;
কবি রাধিকার =
486;ৈশব
ও যৌবনের
মধ্যবর্ত্তù=
6;
অবস্থার কথা
বর্ণনা
করিয়াছেন।
“নিরজনে
উরজ হেরই কত
বেরি।
হাসত
আপন পয়োধর
হেরি।।
পহিল
বদরি সম পুন
নবরঙ্গ।
দিনে
দিনে অনঙ্গ
উঘারয়ে
অঙ্গ।।”
=
88;ম্পাদক
ইহার শেষ দুই=
463;ি
চরণের এইরূপ
টীকা
করিতেছেন:- “প্রথম
বর্ষার মত
নূতন নূতন
ভাবভঙ্গী
প্রকাশ করিত=
03; লাগিল।
বদরি (হিন্দি)
বর্ষা।
নবরঙ্গ শব্দ=
03;
নারাঙ্গালে÷=
6;ু
অভিধানে
থাকিলে এই
চরণের
অন্যরূপ অর্=
69;
হয়। কিন্তু
বদরি শব্দের
বর্ষা অর্থও
সুপ্রসিদ্ধ =
72;হে।
“বর্ষার মত
ভাবভঙ্গী
প্রকাশ করা”
শুনিলেই কেম=
72;
কানে লাগে যে,
অর্থটা
টানাবোনা।” অর্থù=
4;ৎ
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
কাছে এই
ব্যাখ্যা
কিছুটা
বানানো ও
কৃত্রিম মনে
হয়েছে। এই অর=
509;থ-ব্যাখ্যায়
‘পুন’ শব্দের
সার্থকতা
নিয়েও তিনি
প্রশ্ন
তুলেছেন।
তারপর নিজস্=
76;
ব্যাখ্যাটি
তুলে ধরেছেন:
“রাধা
নির্জনে
কতবার আপনার
উরজ দেখেন, আপ=
2472;ার
পয়োধর দেখিয়=
94;
হাসেন। সে
পয়োধর কিরূপ?
না, প্রথমে
বদরীর(কুল)
ন্যায় ও পরে
নারাঙ্গার ন=
09;যায়।”
এভাবে আরও বহ=
497;
পদ উদ্ধৃত কর=
503;
কবি কখনো সম্=
474;াদকের
অর্থ
ব্যাখ্যার,
টীকার, আবার
কখনো অর্থের
ব্যাকরণগত
ত্রুটি
দেখিয়েছেন
সমগ্র প্রবন=
09;ধটিতে।
প্রবন্ধটির
শেষের অংশ বে=
486;
কড়া সুরের:
“সমস্ত
পুস্তকের
মধ্যে এত
অসাবধানতা, এ=
468;
ভ্রম লক্ষিত
হয়, যে,
কিয়দ্দূর পা=
64;
করিয়াই
সম্পাদকের
প্রতি
বিশ্বাস
চলিয়া যায়।
ইহার সমস্ত
ভ্রম যে কেবল
সম্পাদকের
অক্ষমতা বশত=
35;
ঘটিয়াছে তাহ=
94;
দেখিবার
পরিশ্রমটুকù=
7;ও
স্বীকার করে=
72;
নাই। এত
অবহেলা, এত
আলস্য যেখান=
03;,
সেখানে এ কাজ=
503;র
ভার গ্রহণ না
করিলেই ভাল
হইত।
...সম্পাদকের প&=
#2509;রশংসনীয়
উদ্যোগ
সত্বেও আমরা
তাঁহাকে যে এ=
468;
কথা বলিলাম,
তাহার কারণ
বিদ্যাপতির
কবিতা আমাদে=
80;
অতি প্রিয়
সামগ্রী, এবং
পাঠক
সাধারণকে আম=
80;া
উপেক্ষণীয়
মনে করি না।”
বোঝা যায়, বিদ=
2509;যাপতির
কাব্যগুণের
প্রতি গভীর
শ্রদ্ধাই
রবীন্দ্রনাö=
9;কে
সম্পাদনার
ত্রুটি
নির্দেশ ও সম=
494;লোচনায়
উদ্বুদ্ধ
করে।
=
47;ই
সমালোচনার
প্রত্যুত্তø=
0;ে
সমালোচনা
প্রকাশিত হয়
১২৮৮ সালের
ভাদ্র
সংখ্যার ভার&=
#2468;ীতে।
রচনার
শিরোনাম – ‘প্র&=
#2494;চীন
কাব্য
সংগ্রহ। / উত্=
2468;র-
প্রত্যুত্তø=
0;।’
পত্রলú=
3;খক-যোগেন্দ্=
2480;নারায়ণ
রায়। [ প্রকাশ=
2453;-প্রাচীন
কাব্য সংগ্র=
89; ]। এই
উত্তরের
রবীন্দ্রনাö=
9;
লিখিত
প্রত্যুত্তø=
0;
বিন্যস্ত
হয়েছে যোগেন=
09;দ্রনারায়ণে=
2480;
পত্রটির
নিচেই। এভাব=
03;
পরপর
যোগেন্দ্রনù=
4;রায়ণের
ও রবীন্দ্রন=
94;থের
আরও বাইশটি (ম=
2507;ট
চব্বিশটি) উত=
509;তর-প্রত্যুত=
্তর
মুদ্রিত
হয়েছে একই
সংখ্যায়।
প্রতিটিতেই
যোগেন্দ্রনù=
4;রায়ণ
রায় ন=
68;ুন
কোন পদ তুলে
ধরে
রবীন্দ্রনাö=
9;-কৃত
ব্যাখ্যা,
টীকা বা
মন্তব্যের
তীব্র
নিন্দা
করেছেন এবং
প্রত্যুত্তø=
0;ে
রবীন্দ্রনাö=
9;
সেগুলির
যাথার্থ্য
প্রমাণ
করেছেন সুযু=
53;্তি
প্রয়োগ করে।
কোথাও বা
বিনয়ের সঙ্গ=
03;
সাহিত্য
সমালোচকের
বিদ্রূপ করা=
80;
অধিকার চেয়ে
নিচ্ছেন। এর
মধ্যে একটি
‘উত্তর’ এ
যোগেন্দ্রবù=
4;বু
‘এ সখি কি
পেখনু এক
অপরূপ’ পদটির
মধ্যস্থ দুই
পঙ̖ক্তি=
480;
রবীন্দ্রনাö=
9;
প্রদত্ত
অর্থের
ত্রুটি দেখি=
27;েছেন।
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
ব্যবহৃত ‘বোধ
করি’, এরূপ
সন্দেহজ্ঞা÷=
4;ক
শব্দ সম্পর্=
53;েও
প্রশ্ন
তুলেছেন
তিনি। এর
প্রত্যুত্তø=
0;ে
রবীন্দ্রনাö=
9;
জানিয়েছেন য=
03;
যেখানে অর্থ =
476;ুঝতে
মনে সন্দেহ
থাকে সেখানে
তিনি অসঙ্কু=
58;িত
ও অসন্দিগ্ধ
ভাব দেখাতে
পারেন না বলে=
439;
এরকম
অনিশ্চিত
শব্দ প্রয়োগ
করেছেন। =
এর
উত্তরে আবার
যোগেন্দ্রবù=
4;বু
‘শ্রীকৃষ্ণ=
03;র
কুন্তল
সাপিনীর মতো’,
এই অর্থের
বিরোধিতা
করেছেন; কারণ
সাধারনতঃ
কৃষ্ণের
চূড়ার কথাই
শোনা যায়।
তাছাড়া কোন এ=
453;
ব্যক্তি এই
পদটির
আদিররসঘটিত
ব্যাখ্যা কর=
03;ছিলেন
বলেই হয়তো
সম্পাদক এর
অর্থ করেননি;
এই তাঁর
অনুমান।<=
/span>
রবীন্দ্রনাö=
9;
প্রত্যুত্তø=
0;ে
জানাচ্ছেন,
শ্রীকৃষ্ণেø=
0;
শরীর-বর্ণনা
ব্যতীত অন্য
কোন গূঢ়
আদিরসাত্মক
ইঙ্গিত
পদটিতে আছে
বলে তিনি
কিছুতেই
বিশ্বাস করে=
72;
না।
=
47;খানে
ছোটো করে
নিজের
বক্তব্য
জানালেও এই প=
470;টির
মর্মার্থ যে
কবিকে
গভীরভাবে
ভাবিয়েছিল এ=
76;ং
এইসব
বিতর্কের
সূত্র ধরে
তিনি যে পদটি=
480;
সন্দেহাতীত
অর্থ উদ্ধার=
03;
নিবিষ্ট
হয়েছিলেন, তা=
480;
প্রমাণ পাওয়=
94;
যায় ১২৮৮
সালের
কার্তিক
সংখ্যা ভারত&=
#2496;-র
৩৪০ পৃষ্ঠায়
প্রকাশিত বি&=
#2470;্যাপতির
পরিশিষ্ট
নামক কবির
লিখিত
প্রবন্ধটিতú=
3;: “উপস্থিত
সংখ্যক
ভারতীতে
বিদ্যাপতি
সম্বন্ধে
আমার একটি
মাত্র
বক্তব্য আছে=
04;
‘প্রাচীন-কাব=
509;য-সংগ্রহ’
সমালোচনায়
আমি “এ সখি, কি
পেখনু এক
অপরূপ” ইত্যা=
470;ি
পদটির অর্থ
প্রকাশ করিয়াõ=
9;িলাম।
কিন্তু তাহা=
80;
এক স্থানে
অর্থ বুঝিতে
গোলযোগ ঘটায়
সন্দিগ্ধ
ভাবে একটা
অনুমান-করিয়=
94;-লওয়া
ব্যাখ্যা
দেওয়া
হইয়াছিল। আর =
447;কবার
মনোযোগ
পূর্ব্বক
ভাবিয়া ইহার
যে অর্থ পাইয়=
494;ছি,
তাহাতে আর
সন্দেহ
করিবার কিছু
নাই। কেহ কেহ
বলেন এই পদটি=
480;
আদি-রস-ঘটিত
গূঢ় অর্থ আছে;
কিন্তু তাহা
কোন মতেই বিশ=
509;বাস
করা যায় না।
সহজে ইহার যে
অর্থ পাওয়া য=
494;য়
তাহা
অগ্রাহ্য
করিয়া ইহার
মধ্য হইতে
একটা অশ্লীল
আদিরস ঘটিত
অর্থ বাহির
করা নিতান্ত =
453;ষ্ট
কল্পনা ও
অরসিক
কল্পনার কাজ=
04;
শ্রীকৃষ্ণেø=
0;
শরীরে[র]
বর্ণনাই ইহা=
80;
মর্ম্ম।”
তারপর রবীন্=
70;্রনাথ
সম্পূর্ণ
পদটি প্রথমে
উদ্ধৃত করেন
এবং প্রতি পঙ̖ক্তি=
480;
স্পষ্ট ও
নির্দিষ্ট
অর্থ করে
বুঝিয়ে দেন,
শ্রীকৃষ্ণেø=
0;
দৈহিক রূপ
বর্ণনা
ব্যতীত অন্য
কোন গূঢ় অর্থ
বোঝানো কবির
অভিপ্রায় ছি=
82;
না। বিদ্যাপ=
68;ির
কবিতা পাঠে
তাঁর এই
নিষ্ঠা ও
মনোযোগই
প্রমাণ করে,
তিনি
বিদ্যাপতির
সৃষ্টিকে
কতটা
মর্যাদাপূরú=
9;ণ
দৃষ্টিতে
দেখতেন। =
=
80;বীন্দ্রনাথ=
2503;র
পরবর্তী
সমালোচনা চণ&=
#2509;ডিদাস
ও বিদ্যাপতি ভারতীতে
১২৮৮ ফাল্গু=
72;
সংখ্যায়
প্রথম
প্রকাশিত হয়=
04;
পরবর্তীতে
প্রবন্ধটি
কিছুটা
পরিবর্জিত ও =
474;রিমার্জিত
হয়ে ১ý=
6;৯৪
সালে সমালোচ&=
#2472;া
গ্রন্থের
অন্তর্ভুক্ö=
8;
হয়। তবে এই
প্রবন্ধে
বিদ্যাপতি
সম্পর্কে
বিশেষ
প্রশংসাসূচõ=
3;
মন্তব্য নেই
বললেই চলে।
তুলনায়
চণ্ডীদাসকে
উঁচু আসন
প্রদান করা
হয়েছে। এটি
১২৮০ সালে বঙ=
্গদর্শন
এ লেখা
বঙ্কিমচন্দú=
9;রের
‘বিদ্যাপতি ও
জয়দেব’ প্রবন=
509;ধটির
কথা মনে করায়=
404;
দুজনের লেখা
তুলনা করলেই
তাঁদের
নিজস্ব
বৈশিষ্ট্য
স্পষ্ট হয়ে ও=
464;ে।
বঙ্কিমচন্দú=
9;রের
লেখায় আছে
মননশীলতা, চি=
472;্তাশীলতার
ছাপ। তিনি জয়=
470;েব
ও বিদ্যাপতি=
80;
কাব্য
সম্পর্কে
যেসব সাধারণ
মন্তব্য ও
সিদ্ধান্ত ক=
80;েছেন
তার পেছনে
লেখকের সজাগ
বুদ্ধিবৃত্ö=
8;ি
বোঝা যায়। তব=
503;
বঙ্কিমচন্দú=
9;র
শুধু মন্তব্=
79;ই
করেছেন, নিজে=
480;
বক্তব্যকে
দৃষ্টান্ত ও
বিচারের
দ্বারা
সমর্থন করেন
নি। কিন্তু
রবীন্দ্রনাö=
9;
নিজের
যুক্তির
সমর্থনে
দৃষ্টান্ত
উপস্থিত
করেছেন এবং
তাঁর
সমালোচনায়
বক্তব্য আরও
গভীর হয়েছে।
তাঁর লেখায়
আছে যুক্তি,
অনুভব ও
মর্মগ্রাহিö=
8;ার
সমন্বয়;
এককথায়
তীক্ষ্ণ মনন =
451;
গভীর সহৃদয়
সংবেদনার
সংযোগে
প্রকৃত
সাহিত্য
সমালোচকের
রসদৃষ্টির
পরিচয় পাওয়া
যায় তরুণ
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
সমালোচনায়।
রবীন্দ্রনাö=
9;
চণ্ডীদাসকে
বিদ্যাপতি
অপেক্ষা বড়
কবি বলেছেন।
এছাড়া বঙ্কি=
78;চন্দ্রের
বিদ্যাপতি-স=
78;্পর্কিত
মতের বিপরীত
মতও ঘোষণা
করেছেন তিনি=
04;
বঙ্কিমচন্দú=
9;র
বিদ্যাপতিকú=
3;
বলেছেন
দুঃখের কবি,
রবীন্দ্রনাö=
9;
বলেছেন সুখে=
80;
কবি।
বঙ্কিমচন্দú=
9;র
জয়দেবের
সঙ্গে তুলনা
প্রসঙ্গে
বিদ্যাপতিকú=
3;
যে দৃষ্টিতে =
470;েখেছেন,
চণ্ডীদাসের
সঙ্গে তুলনা=
27;
বিদ্যাপতির
সেই ভূমিকার
বদল হয়েছে
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
লেখনীতে।
=
80;বীন্দ্রনাথ=
2503;র
প্রবন্ধটি
থেকে অংশবিশ=
03;ষ
উদ্ধৃত করা
যাক: “আমাদের
চণ্ডিদাস সহ=
60;
ভাষার সহজ
ভাবের কবি, এই
গুণে তিনি
বাঙ্গলার সক=
82;
প্রাচীন
কবিদের শ্রে=
87;্ঠ।
তিনিই বঙ্গী=
27;
প্রাচীন
কবিদের মধ্য=
03; প্রধান
কবি। তিনি যে
সকল কবিতা
লেখেন নাই,
তাহারই জন্য
কবি। ...তিনি এক
ছত্র লেখেন, ও
দশ ছত্র
পাঠকদের দিয়=
94;
লিখাইয়া লন।
...&=
#2476;িদ্যাপতি
সুখের কবি,
চণ্ডিদাস
দুঃখের কবি।
বিদ্যাপতি
বিরহে কাতর
হইয়া পড়েন।
চণ্ডিদাসের
মিলনেও সুখ
নাই। ব&=
#2495;দ্যাপতি
জগতের মধ্যে
প্রেমকে সার
বলিয়া জানিয়=
94;ছেন,
চণ্ডিদাস প্=
80;েমকেই
জগত বলিয়া
জানিয়াছেন।
বিদ্যাপতি উ=
74;ভোগের
কবি, চণ্ডিদা=
488;
সহ্য করিবার
কবি। চণ্ডিদ=
94;স
সুখের মধ্যে
দুঃখ ও দুঃখে=
480;
মধ্যে সুখ দে=
454;িতে
পাইয়াছেন।
তাঁহার সুখে=
80;
মধ্যেও ভয় এব=
434;
দুঃখের
প্রতিও
অনুরাগ।
বিদ্যাপতি
কেবল জানেন য=
503;
মিলনে সুখ ও
বিরহে দুঃখ।
কিন্তু চণ্ড=
95;দাসের
হৃদয় আরো
গভীর, তিনি
উহা অপেক্ষা
আরো অধিক জান=
503;ন।
তিনি সুখের
চখেও অশ্রুজ=
82;
দেখিতে পান।”
এই
প্রবন্ধে
উদ্ধৃত
পদগুলি হল
যথাক্রমে:
=
২। সই কেমনে
ধরিব হিয়া=
span>?
৩। কহে
চণ্ডিদাস,
শুন বিনোদিন=
96;
৪। সই পিরীতি
না জানে যারা
৫। দারুণ
ঋতুপতি যত দু=
454;
দেল, (বিদ্=
যাপতি) =
৬। এই ভয় উঠে
মনে,এই
ভয় উঠে
৭। সে হেন
বঁধুরে মোর য=
503;
জন ভাঙ্গায়
৮। কি মোহিনী
জান বঁধু,কি
মোহিনী জান
৯। বঁধু,
যদি তুমি মোর=
503;
নিদারুণ হও
১০। তোমারে
বুঝাই বঁধু,
তোমারে বুঝা=
39;
১১। অনুক্ষণ
গৃহে মোর
গঞ্জয়ে সকলে,
১২। যেন মলয়জ
ঘষিতে শীতল
১৩। পিরীতি
পিরীতি সব জন
কহে,
১৪। পিরীতি
পিরীতি,কি রীতি
মূরতি
১৫। পিরীতি
বলিয়া এ তিন
আখর
১৬। নিতই নূত=
472;
পিরীতি দুজন
১৭। সখি রে,কি
পুছসি অনুভব
মোয়
(বিদ্যাপতি)
১৮। প্রেমের
আকৃতি দেখিয়=
94;
মূরতি
১৯। পিরীতি
নগরে বসতি
করিব
২০। কবিপতি
বিদ্যাপতি
মতিমানে
২১। চণ্ডিদা=
88;
চরণ
চিন্তামণি গ=
67;
শিরে করি
ভূষা
গোবিন্দদাসú=
3;র
কবি-বন্দনা।
প্রসঙ্গত
উল্লেখ্য,
তালিকার শেষ চ=
94;রটি
পদ (১৮-২১) ভার=
68;ীতে
থাকলেও
গ্রন্থে
প্রকাশকালে
সেগুলি বর্জ=
95;ত
হয়।
=
82;ক্ষণীয়,
বিদ্যাপতির
দু একটি পদ
ছাড়া প্রায় স=
476;
পদই
চণ্ডীদাসেরð=
4;
বিস্তারিত
আলোচনা ছাড়া,
উল্লেখের
সংখ্যাগত
পরিমাণেও কব=
95;
চণ্ডীদাসের
প্রতি
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
সমধিক
আকর্ষণের
পরিচয় পাওয়া
যায় এই
প্রবন্ধে।
=
74;রবর্তী
বিদ্যাপতির
প্রসঙ্গযুকú=
9;ত
প্রবন্ধটির
নাম বসন্তরা&=
#2527;।
বসন্তরায়কú=
3;
দীর্ঘদিন ধর=
03;
বিদ্যাপতির
সঙ্গে অভিন্=
72;
করে ভাবা হত।
রবীন্দ্রনাö=
9;
অত্যন্ত
সূক্ষ্মভাবú=
3;
বিদ্যাপতির
ভাব-ভাষা
ইত্যাদির
সঙ্গে বসন্ত=
80;ায়ের
ভাব-ভাষা-প্র=
453;াশভঙ্গির
পার্থক্য দে=
54;িয়ে
প্রমাণ করলে=
72;
যে বিদ্যাপত=
95;
ও বসন্তরায় স=
478;্পূর্ণ
ভিন্ন দুই
ব্যক্তি। অব=
86;্য
কোন ঐতিহাসি=
53;
প্রমাণ আছে ক=
495;
না– সে
সম্বন্ধে
তিনি প্রথমে=
39;
তাঁর অজ্ঞতা
স্বীকার করে
নিয়েছেন। প্রাচীন
কাব্যসংগ্রø=
9;তে
বসন্তরায়ের
পদাবলী ছিল।
‘বসন্তরায়’
প্রবন্ধটি
শ্রাবণ
সংখ্যা ভারত&=
#2496;তে
১২৮৯ সালে
প্রকাশিত হয়
এবং পরে তা সম=
;ালোচনা
গ্রন্থের
অন্তর্ভুক্ö=
8;
হয়। এটিও
গ্রন্থভুক্ö=
8;িকালে
কিছুটা
পরিবর্জিত
হয়ে
সংক্ষিপ্ত
আকারে মুদ্র=
95;ত
হয়েছে। এই
নিবন্ধে
রবীন্দ্রনাö=
9;
দেখিয়েছেন
কীভাবে
কাব্য-পাঠের
দ্বারা কবিক=
03;
চিনে নেওয়া
যায়। ইংরেজি
সমালোচনায়
যাকে বলে internal evidence, কবিপ&=
#2497;রুষকে
চিনবার সেই
অন্তর্নিহিö=
8;
সাক্ষ্যের
অনুসন্ধান
করেছেন
বসন্তরায়ের
কাব্যে
বসন্তরায়কে
চেনার
জন্য।
=
80;বীন্দ্রনাথ
প্রথমত
আলোচনা
করেছেন বিদ্=
79;াপতি
ও বসন্তরায়ে=
80;
ভাষার
পার্থক্য সম=
09;বন্ধে।
বিদ্যাপতির
লেখায়
ব্রজভাষা ও
বাংলার মিশ্=
80;ণ
লক্ষ্য করা
যায়;
কিন্তু
বসন্তরায়ের
ভাষায় বাংলা=
27;
ব্রজভাষার
মিশেল, অর্থা=
510;
প্রাধান্য
বাংলা
ভাষারই। বিদ=
09;যাপতি
বা অন্যান্য
কবিরা
ব্রজভাষাকে
‘কবিতার
অফিসের বস্ত্র’
ভাবতেন। তাই
শ্যামের বিষ=
27;
বর্ণনা করতে
হলে আটপৌরে
ভাষার সাজ
ছেড়ে
ব্রজভাষার
আমদানি করে ব=
499;ন্দাবনী
সাজসজ্জার
একটা বোঝা বয়=
503;
বেড়াতেন।
বসন্তরায়ের
এসব বিশেষ
পছন্দ ছিলনা,
তাই কিছুটা
ব্রজভাষা
প্রয়োগের পর
তিনি আটপৌরে
বাংলায় সহজ
বর্ণনায়
পদাবলী রচনা =
453;রেছিলেন।
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
কথায়:
“বসন্তরায়ের
কবিতার ভাষা=
51;
যেমন, কবিতার
ভাবও তেমন।
সাদাসিধা;
উপমার ঘনঘটা
নাই; সরল
প্রাণের সরল
কথা; সে কথা
বিদেশী ভাষা=
27;
প্রকাশ করিত=
03;
যাওয়াই
মিথ্যা।” ভা=
;ষার
পরে দ্বিতীয়
পার্থক্য দে=
54;িয়েছেন
কবিতার ভাবে=
04;
অত্যধিক জটি=
82;
অলংকার উপমা=
80;
মধ্যে
সুকুমার
ভাবগুলির
প্রাণছোঁয়া
কথা শোনা যায়
না। তাই
বসন্তরায়ের
কবিতার ভাব
সহজ সরল মর্ম=
488;্পর্শী,
বিদ্যাপতির
ভাব অত্যন্ত
পোশাকি,
অলংকার-উপমা=
80;
আড়ম্বরে
আকীর্ণ।
বিদ্যাপতির
সঙ্গে যেমন
চণ্ডীদাসের
তুলনা করলে
বোঝা যায়,
চণ্ডীদাস কত
সহজ সরল ভাবে=
480;
উপস্থাপক,
তেমনি
“বিদ্যাপতির
সহিত
বসন্তরায়ের
তুলনা করিলে=
51;
দেখা যায়, বিদ=
2509;যাপতির
অপেক্ষা
বসন্তরায়ের
ভাষা ও ভাব কত
সরল।” এ কথার
প্রমাণস্বরù=
8;প
রবীন্=
;দ্রনাথ
বিদ্যাপতি ও
বসন্তরায়--
দুজনের রচিত
শ্রীরাধার
মুখে
শ্যাম-রূপ
বর্ণনার পদ
উদ্ধৃত করে
সেগুলি বিশ্=
82;েষণ
করে
দেখিয়েছেন,
বিদ্যাপতির
বর্ণনায় গভী=
80;
ভাবের ছোঁওয়=
94;
অনেক
ক্ষেত্রেই
অনুপস্থিত;
“কতকগুলি
টানাবোনা
বর্ণনা করিয়=
94;
গোটাকতক ছত্=
80;
মিলাইয়া
দিয়াছেন।” ব=
;িদ্যাপতির
উদ্ধৃত কবিত=
94;টির
প্রথম দুটি প=
457;̖ক্তি
হল- “এ সখি কি
দেখনু এক
অপরূপ,/
শুনাইতে মান=
76;ি
স্বপনস্বরূ÷=
4;।”
অন্যপক্ষে,
বসন্তরায়ের
“সজনি, কি
হেরিনু ও মুখ
শোভা” পদটি
প্রসঙ্গে
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
মন্তব্য:
“বসন্তরায়ের
কৃষ্ণবর্ণনù=
4;
পড়িয়া দেখ।
কবি এমন ভাবে
মুগ্ধ হইয়া
গাহিয়া
উঠিয়াছেন যে,
প্রথম ছত্র
পড়িয়াই
আমাদের
প্রাণের তার
বাজিয়া ওঠে।”
রবীন্দ্রনাö=
9;
দুই কবির
তুলনা করে
বলেছেন:
“বিদ্যাপতির
রচিত
বর্ণনাটি
সমস্তটাই
বস্তুগত।
বসন্তরায়ের
ভাবগত।
বিদ্যাপতি
শ্যামের প্র=
68;্যেক
অঙ্গ
প্রত্যঙ্গ
খুটিনাটি
করিয়া বর্ণন=
94;
করিতে
গিয়াছেন।
কিন্তু
বসন্তরায় তা=
89;া
করেন নাই।” ô=
7;খানে
দেখা যায়,
তৃতীয় পার্থক্য
কবিতার
বিষয়বস্তু
পরিবেশনে বা
প্রকাশভঙ্গù=
5;তে।
বিদ্যাপতির
বস্তুগত ও
বসন্তরায়ের ভাবগত
দিকের
বর্ণনার
প্রবণতা লক্=
87;
করা যায়।
প্রসঙ্গত বল=
94;
যায়, শেষের যে
কয়েকটি ছত্র
এখানে উদ্ধৃ=
68;
করা হয়েছে,
গ্রন্থে সে=
55;ুলি
বর্জিত। হয়ত=
07;
এভাবে বিদ্য=
94;পতি
সম্পর্কে
বলাটা পরে
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
কাছে কিছুটা
রুচিবিরুদ্÷=
1;
মনে হয়ে থাকত=
503;
পারে; যার
জন্য এই
পরিবর্জন।
=
58;তুর্থ
পার্থক্য
উভয়ের
দৃষ্টিভঙ্গù=
5;
ও মানসিকতা।
এই পার্থক্য
ধরা পড়ে উভয়
কবির রূপ-বর্=
467;নামূলক
পদের মধ্যে।
“বিদ্যাপতি
কহিতেছেন, রূ=
474;
উপভোগ্য
বলিয়া সুন্দ=
80;,
আর বসন্তরায়
কহিতেছেন রূ=
74;
সুন্দর বলিয়=
94;
উপভোগ্য। ইহ=
94;
সত্য বটে,
সৌন্দর্য ও
ভোগ একত্রে
থাকে, কিন্তু
ইহাও সত্য
উভয়ে এক নহে।
সৌন্দর্যস্÷=
4;ৃহা
হইতেও ভোগ কর=
494;
যায় এবং
ভোগস্পৃহা
হইতেও ভোগ কর=
494;
যায়। যাহার
যেমন মনের
গঠন। বসন্তর=
94;য়
তাহার
রূপবর্ণনায়
যাহা কিছু
সুন্দর তাহা=
39;
দেখাইয়াছেন,
আর বিদ্যাপত=
95;
তাঁহার রূপ-ব=
480;্ণনায়
যাহা কিছু
ভোগ্য তাহাই
দেখাইয়াছেনð=
4;”
পরবর্তী
পার্থক্যের
কথা বলতে গিয়=
503;
রবীন্দ্রনাö=
9;
বলেছেন:
“বসন্তরায়ের
কবিতায়
আরেকটি মোহম=
72;্ত্র
আছে, যাহা
বিদ্যাপতির
কবিতায়
সচরাচর দেখা
যায় না।
বসন্তরায়
প্রায় মাঝে
মাঝে বস্তুগ=
68;
বর্ণনা দূর
করিয়া দিয়া
এককথায় এমন
একটি ভাবের
আকাশ খুলিয়া
দেন, যে,
আমাদের
কল্পনা পাখা
ছড়াইয়া উড়িয়=
94;
যায়, মেঘের
মধ্যে
হারাইয়া যায়=
04;”
অর্থাৎ
বসন্তরায়ের
কবিতায় ভাবগ=
68;
বিস্তারের
অনুভূতি যা
বিদ্যাপতির
কবিতায়
অনুপস্থিত। =
68;ারপর
বসন্তরায়ের
‘আলো
ধনি,
সুন্দরি, কি
আর
বলিব?’
–সম্পূর্ণ
পদটি উদ্ধৃত
করে বলেছেন:
“এমন প্রশান্=
468;
উদার গম্ভীর
প্রেম
বিদ্যাপতির
কোন পদে
প্রকাশ
পাইয়াছে কি ন=
494;
সন্দেহ। ইহা=
80;
একেকটি
সম্বোধন
চমৎকার।”
=
88;মগ্র
প্রবন্ধে
রবীন্দ্রনাö=
9;
বসন্তরায়ের =
76;হু
পদ উদ্ধৃত কর=
503;
বিদ্যাপতির
সঙ্গে তুলনা
করেছেন। এর
মধ্যে একটি
হল- “প্রাণনাথ,
কেমন করিব আম=
495;?/
তোমা বিনা মন
করে উচাটন/ কে
জানে কেমন তু=
478;ি!/
...তিলেক থির
নাহি বাঁধি!” পদটির
প্রথম অংশ
সম্পর্কে
রবীন্দ্রনাö=
9;
বলছেন: “ইহার
প্রথম দুটি
ছত্রে, ভাবের
অধীরতা, ভাষা=
480;
বাঁধ
ভাঙ্গিবার
জন্য ভাবের
আবেগ কি
চমৎকার প্রক=
94;শ
পাইতেছে! ...এত
দেখিলাম এত
পাইলাম, তবুও
প্রাণ আজও
বলিতেছে
“প্রাণনাথ
কেমন করিব
আমি!” বিদ্যাপ=
2468;ি
যে এত করিয়া
বলিয়াছেন,
“লাখ লাখ
যুগ হিয়ে হিয়=
503;
রাখনু
তবু হিয়ে জুড়=
472;
না গেল!”
=
68;াহা
অপেক্ষা ইহা
অনেক ভাল। =
বিদ্যাপতি
সমস্ত
কবিতাটিতে
যাহা
বলিয়াছেন ইহ=
94;র
এককথায় তাহা=
80;
সমস্তটা বলা
হইয়াছে এবং ত=
494;হা
অপেক্ষা
শতগুণ অধীরত=
94;
ইহাতে ব্যক্=
68;
হইতেছে। ...=
2470;্বিতীয়
ছত্রে রাধা শ=
509;যামের
মুখের দিকে
আকুল নেত্রে
চাহিয়া কহিত=
03;ছেন
“কে জানে কেমন
তুমি!” যাহার
একতিল ঊর্ধ্=
76;ে
উঠিলেই ভাষা
মরিয়া যায়,
সেই, ভাষার
শেষ সীমায়
দাঁড়াইয়া
রাধা
বলিতেছেন “কে
জানে কেমন তু=
478;ি!”
এত উচ্চে
বিদ্যাপতি
কখন উঠেন না,
এবং ইহার ঊর্=
471;্বে
রায়বসন্ত
স্বয়ং উঠিতে
পারেন না।”
=
47;খানে
একটি কথা
উল্লেখের
দাবি রাখে, তা
হল- রবীন্দ্র=
472;াথ
তাঁর বহু
রচনায়
বিভিন্ন
প্রসঙ্গ-সূত=
09;রে
বিদ্যাপতির
‘লাখ লাখ যুগ’
পদটি ব্যবহা=
80;
করেছেন এবং এ=
480;
সূক্ষ্ম
বিশ্লেষণ কর=
03;
ভাবের গভীরত=
94;,
বক্তব্যের
সংহতি ও
শৈল্পিক
উৎকর্ষের কথ=
94;
বলেছেন। অথচ
এখানে বসন্ত=
80;ায়কে
বিদ্যাপতি
অপেক্ষা
উৎকৃষ্ট কবি
প্রমাণের
তাগিদে এই
বহুশ্রুত
পদটি
সম্পর্কেও ত=
97;লনামূলক
আলোচনার
প্রেক্ষিতে
নেতিবাচক মন=
09;তব্য
করলেন। মনে
হয়, তরুণ
রবীন্দ্রনাö=
9;
এই প্রবন্ধ
রচনাকালে
বসন্তরায়ের
প্রতি অধিক
ভাবাবেগে
আপ্লুত হয়ে
পড়েছিলেন, যা=
480;
জন্য বিদ্যা=
74;তির
প্রতি সুবিচ=
94;র
করতে পারেন
নি। নতুবা
‘লাখ লাখ যুগ’
এর মত পদ
অপেক্ষা
বসন্তরায়ের
একটি সাধারণ
মানের পদের
হয়ত এমন
উচ্ছ্বসিত
প্রশংসা
করতেন না। নি=
480;্মোহ
দৃষ্টিতে
বিচার করলে
রবীন্দ্রনাö=
9; বসন্তরায়ের
প্রতি
যথাযোগ্য
সম্মান
প্রদর্শন
করেও
বিদ্যাপতিকú=
3;
তাঁর প্রাপ্=
79;
সম্মানের
আসনে প্রতিষ=
09;ঠিত
করতে পারতেন=
04;
হয়তো
রবীন্দ্রনাö=
9; সেই
সময়ে বৈষ্ণব
কবিতার
বহিঃসৌন্দরú=
9;য
অপেক্ষা
ভাবের
নিবিড়তার
প্রতি বেশি
মনোযোগী ছিল=
03;ন।
প্রসঙ্গত,
কয়েকমাস আগে
লেখা
‘চণ্ডিদাস ও ব=
2495;দ্যাপতি’
প্রবন্ধটি
স্মরণীয়।
তেমন কোন ভাব=
472;া
থেকেই হয়তো
তুলনায়
স্বল্প
পরিচিত বসন্=
68;রায়ের
পদাবলী
সম্পর্কে
অতিরিক্ত
আগ্রহ প্রদর=
09;শন
করেছেন।
তাহলেও কবির
সমালোচনায়
তথ্যের
যথার্থতা ও
বিচারনৈপুণú=
9;য
লক্ষ করে কবি=
480;
সঙ্গে একযোগ=
03;
স্বীকার
করতেই হয় যে
বিদ্যাপতি ও
বসন্তরায় এক
কবি নন, এমন কি
এক শ্রেণিরও
কবি নন।
=
41;পরে
আলোচিত
বিদ্যাপতির
পদটি (‘জনম
অবধি হম’)
রবীন্দ্ররচ÷=
2;ায়
অন্ততঃ
আঠারোবার
উদ্ধৃত হয়েছ=
03;
বিভিন্ন
প্রসঙ্গে।
তবে ১২৯১ সাল=
503;
(১৮৮৪) সম্ভবত
প্রথমবার
রবীন্দ্রনাö=
9;
‘জনম অবধি
হম’-এই অংশের
ইতিবাচক
ব্যাখ্যা
করেন ডুব
দেওয়া:
ডুবিবার
স্থান(আ=
;লোচনা) প্রবন্ধে: “&=
#2447;কটা
মানুষ যত বড়ই
হউক না কেন,
তাহাকে
দেখিতে কিছু
বেশীক্ষণ
লাগে
না--কিন্তু
আজন্মকাল দে=
54;িয়াও
যখন দেখা
ফুরায় না তখন
সে না-জানি কত
বড় হইয়া
উঠিয়াছে! ইহা=
480;
অর্থ আর কিছু=
439;
নহে, অনুরাগে=
480;
প্রভাবে
প্রেমিক একজ=
72;
মানুষের
মধ্যস্থিত অ=
88;ীমের
মধ্যে
প্রবেশাধিকù=
4;র
পাইয়াছেন,
সেখানে সে মা=
472;ুষের
আর অন্ত পাওয়=
494;
যায় না। ... এই
জন্যই যথার্=
69;
অনুরাগের
মধ্যে
একপ্রকার
ব্যাকুলতা
আছে। সে
এতখানি পায় য=
503;
তাহা প্রাণ
ভরিয়া আয়ত্ত
করিতে পারে
না--- তাহার এত
বেশি তৃপ্তি
বর্তমান, যে, স&=
#2503;
তৃপ্তিকে সে
সর্বতোভাবে
অধিকার করিত=
03;
পারে না ও
তাহা সুমধুর
অতৃপ্তিরূপú=
3;
চতুর্দ্দিক
পূর্ণ করিয়া
বিরাজ করিতে
থাকে।” তরুণ
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
এই গভীর
বিশ্লেষণী
শক্তি বিস্ম=
27;কর।
বিদ্যাপতিø=
0;
পদাবলীর
গভীরতা ও
চিরন্তন বাণ=
96;কে
এই প্রবন্ধে
তিনি
সার্থকভাবে
তুলে ধরতে পে=
480;েছেন।
=
74;রবর্তী
আলোচ্য
নিবন্ধ বিদ্&=
#2479;াপতির
রাধিকা ১২৯৮
সালের চৈত্র
সংখ্যা সাধন&=
#2494;তে
প্রথম
প্রকাশিত হয়=
04;
বর্তমানে এট=
95; আধুনিক
সাহিত্য
গ্রন্থের
অন্তর্ভুক্ö=
8;।
এই প্রবন্ধে
চণ্ডীদাস ও
বিদ্যাপতি
–দুই কবির
রচনাকে একটি
বিশেষ দিক
থেকে আলোচনা
করা হয়েছে।
সেটি হল প্রে=
478;।
দুই কবি
রাধিকার
প্রেমমূর্তù=
5;
যেভাবে প্রক=
94;শ
করেছেন, তার
থেকেই বোঝা
যায় দুজনের
কাব্যে
প্রেমের কোন=
09;
রূপ ধরা
পড়েছে। উভয়ে=
80;
পার্থক্য
প্রবন্ধের প=
09;রথমেই
ব্যক্ত করা
হয়েছে: “গতি
এবং উত্তাপ
যেমন একই
শক্তির ভিন্=
72;
অবস্থা,
বিদ্যাপতি
এবং
চণ্ডীদাসের
কবিতায়
প্রেমশক্তিø=
0;
সেই প্রকার
দুই ভিন্ন রূ=
474;
দেখা যায়।
বিদ্যাপতির
কবিতায়
প্রেমের
ভঙ্গি,
প্রেমের
নৃত্য, প্রেম=
503;র
চাঞ্চল্য;
চণ্ডীদাসের
কবিতায়
প্রেমের
তীব্রতা,
প্রেমের
আলোক।” প্রসঙ=
509;গত
উল্লেখ্য,
পত্রিকায়
বানান ‘চণ্ডি=
470;াস’,
কিন্তু
গ্রন্থে
সর্বত্র
‘চণ্ডীদাস’
লিখিত। শেষে প&=
#2509;রাবন্ধিক
‘জনম অবধি হম’ প=
দটি
উদ্ধৃত করে
প্রবন্ধের
সমাপ্তি
টেনেছেন
এইভাবে: “নবীন
প্রেম
একেবারে লক্=
87;
লক্ষ যুগের
পুরাতন হইয়া
গেল। ইহার পর=
503;
ছন্দ এবং
রাগিণী
পরিবর্তন কর=
94;
আবশ্যক।
চিরনবীন
প্রেমের
ভূমিকা সমাপ=
09;ত
হইয়াছে। চণ্=
65;ীদাস
আসিয়া
চিরপুরাতন
প্রেমের গান
আরম্ভ করিয়া
দিলেন।” এখান=
503;
বিদ্যাপতির
কবিতা
সম্পর্কে
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
মন্তব্য বেশ
সুচিন্তিত ও
পরিণত। বলা
যায়, চণ্ডীদা=
488;
ও বিদ্যাপতি—=
470;ুই
কবিকেই এই
প্রবন্ধে
নিরপেক্ষভা÷=
6;ে
বিচার করা
হয়েছে।=
&=
#2474;ঞ্চভূত গ্রন্থের
অন্তর্ভুক্ö=
8; কাব্যের ত=
94;ৎপর্য
(১৩০৪)
প্রবন্ধে বিদ্য=
;াপতির
পদাবলীর
প্রসঙ্গ ও
উদ্ধৃতি এসে=
59;ে
ব্যোম এর
উক্তিতে।
বিদ্যাপতির =
88;েই
একই পদ ‘সখি হে,
কি পুছসি
অনুভব মোয়’ থে=
2453;ে
দুটো পঙ=
span>̖õ=
3;্তি
পৃথকভাবে
উদ্ধৃত হয়েছ=
03;
--(ক)‘জনম অবধি হ÷=
8;
রূপ নেহারনু
নয়ন না তিরপি=
468;
ভেল’ (খ) সোই
মধুর বোল শ্র=
476;ণহি
শুনলুঁ
শ্রুতিপথে
পরশ না গেল’। <=
span
style=3D'font-size:13.0pt;font-family:BenSen;mso-bidi-language:BN-BD'>
&=
#2488;াহিত্য
গ্রন্থভুক্ö=
8;
সাহিত্যসৃষú=
9;টি
(১৩১৪)
প্রবন্ধে
সৃজনশীল মনে
সাহিত্য
কীভাবে সৃষ্=
63;ি
হয়ে উঠে তা=
80;
আলোচনা
প্রসঙ্গে
বিদ্যাপতির =
74;দের
উদাহরণ দিয়ে
বললেন:
“যাহাকে আমরা
গীতিকাব্য
বলিয়া থাকি,
অর্থাৎ যাহা
একটুখানির
মধ্যে
একটিমাত্র
ভাবের বিকাশ--=
2448;
যেমন
বিদ্যাপতির—=
77;রা
বাদর মাহ
ভাদর,/ শূন্য মন্দি=
80;
মোর—সেও
আমাদের মনের
বহু দিনের
অব্যক্ত
ভাবের একটি
কোন সুযোগ
আশ্রয় করিয়া
ফুটিয়া ওঠা।
ভরা বাদলে
ভাদ্র মাসে
শূন্যঘরের
বেদনা কত
লোকেরই মনে ক=
468;
কথা না কহিয়া
কতদিন ঘুরিয়=
94;
ঘুরিয়া
ফিরিয়াছে;
যেমনি ঠিক
ছন্দে ঠিক
কথাটি বাহির
হইল অমনি
সকলেরই এই অন=
503;কদিনের
কথাটা মূর্ত=
95;
ধরিয়া আঁট
বাঁধিয়া বসি=
82;।”
কিছু পরে আবা=
480;
মানবসাহিত্÷=
9;ে
ছড়ানো ভাবের
এক হয়ে ওঠার
প্রয়াস
প্রসঙ্গে
বিদ্যাপতির
কথা এসেছে:
“মিথিলার
বিদ্যাপতির
গান কেমন
করিয়া বাংলা =
474;দাবলী
হইয়া উঠিয়াছ=
03;
তাহা দেখিলে=
39;
বুঝা যাইবে—স=
509;বভাবের
নিয়মে এক কেম=
472;
করিয়া আর হইয়=
494;
উঠিতেছে।
বাংলায়
প্রচলিত
বিদ্যাপতির
পদাবলীকে বি=
70;্যাপতির
বলা চলে না।
মূল কবির প্র=
494;য়
কিছুই তাহার
অধিকাংশ পদে=
39;
নাই। ক&=
#2509;রমেই
বাঙালি গায়ক =
451;
বাঙালি
শ্রোতার যোগ=
03;
তাহার ভাষা,
তাহার অর্থ,
এমন-কি, তাহার
রসেরও
পরিবর্তন হই=
27;া
সে এক নূতন
জিনিস হইয়া
দাঁড়াইয়াছেð=
4;
...অথচ নানা কাল
ও নানা লোকের
দ্বারা
পরিবর্তন-সত=
09;ত্বেও
পদগুলি
এলোমেলো
প্রলাপের মত
হইয়া যায় নাই=
404;
কারণ একটা মূ=
482;
সুর মাঝখানে
থাকিয়া সমস্=
68; পরিবর্তনকে
আপনার করিয়া
লইবার জন্য
সর্বদা সতর্=
53;
হইয়া বসিয়া
আছে। সেই
সুরটুকুর
জোরেই এই
পদগুলিকে
বিদ্যাপতির
পদ বলিতেছি,
আবার আগাগোড়=
94;
পরিবর্তনের
জোরে এগুলিক=
03;
বাঙালির সাহ=
95;ত্য
বলিতে
কুণ্ঠিত
হইবার কারণ
নাই।” =
span>
&=
#2486;ান্তিনিকেত=
;ন গ্র=
;ন্থের
একাদশ খণ্ডে শ&=
#2509;রাবণ
সন্ধ্যা
(১৩১৭)
প্রবন্ধের
শেষ অর্ধাংশ
তিমির
দিগভরি ঘোর
যামিনী,
অথির
বিজুরিক
পাঁতিয়া
বিদ্যাপতি
কহে, কৈসে
গোঙায়বি
হরি
বিনে
দিনরাতিয়া।
...সেই
চিরদিন
রাত্রির
হরিকেই চাই,
নইলে দিনরাত=
09;রি
অনাথ। সমস্ত
আকাশকে
কাঁদিয়ে তুল=
03;
এই কথাটা আজ
আর নিঃশেষ হত=
503;
চাচ্চে না।
আমরা যে
তাঁরই বিরহে
এমন করে
কাটাচ্ছি এ
খবরটা আমাদে=
80; নিতান্তই
জানা চাই। কে=
472;
না বিরহ মিলন=
503;রই
অঙ্গ।...
... মানুষ
কবি সেইসব
খবরকেই গানে=
80;
মধ্যে কতকটা =
453;থায়,
কতকটা সুরে,
বেঁধে গাইতে
থাকে--
“ভরা
বাদর মাহ
ভাদর,
শূন্য
মন্দির মোর!” ...
...&=
#2438;জ
কেবলি মনে
হচ্চে এই যে
বর্ষা, এত এক
সন্ধ্যার
বর্ষা নয় এ
যেন আমার সমস=
509;ত
জীবনের অবির=
82;
শ্রাবণ ধারা=
04;
...আমার সমস্ত
আকাশ ঝর̖ঝর্ করে
বল̖চে-- “কৈ=
;সে
গোঙায়বি হরি
বিনে
দিনরাতিয়াð=
4;”...
=
76;িরহ
সন্ধ্যার
অন্ধকারকে
যদি শুধু এই
বলে কাঁদতে হ=
468;
যে, “কেমন করে
তোর
দিনরাত্রি
কাটবে”--তাহলে
সমস্ত রস
শুকিয়ে যেত
এবং আশার
অঙ্কুর পর্য=
72;্ত
বাঁচত না;
--কিন্তু শুধু
কেমন করে
কাটবে নয় ত-- “কে=
;মন
করে কাটবে হর=
495;
বিনে
দিনরাতিয়া” --স&=
#2503;ই
জন্যে “হরি
বিনে” কথাটাক=
503;
ঘিরে ঘিরে এত
অবিরল অজস্র
বর্ষণ! ...এই
জীবন ব্যাপী
বিরহের যেখা=
72;ে
আরম্ভ সেখান=
03;
যিনি, যেখানে
অবসান সেখান=
03; যিনি
এবং তারই
মাঝখানে গভী=
80;
ভাবে
প্রচ্ছন্ন থ=
03;কে
যিনি
করুণ-সুরের
বাঁশী
বাজাচ্ছেন
সেই হরি বিনে=
কৈসে গোঙায়ব=
95;
দিনরাতিয়া।!”
=
88;াহিত্যের
পথে <=
span
style=3D'mso-spacerun:yes'> গ্রন্ö=
9;ের
তথ্য ও সত্য (&=
#2535;৩৩১)
প্রবন্ধে মো=
63;
পাঁচবার
পদাবলীর
উদ্ধৃতি দেও=
27;া
হয়েছে
সাহিত্যের
মূল স্বরূপক=
03;
বোঝানোর জন্=
79;।
প্রথম
পদাংশটি
বিদ্যাপতির
‘যব গোধূলিসম=
527;
বেলি’ পদের
প্রথম চার পঙ&=
#790;ক্তি
থেকে গৃহীত:
“বিদ্যাপতি
লিখেছেন--যব
গোধূলিসময়
বেলি/ ধনি মন্=
2470;ির
বাহির ভেলি,/
নব জলধরে
বিজুরিরেহা
দ্বন্দ্ব
পসারি গেলি।”
=
47;কই
গ্রন্থের সা&=
#2489;িত্যরূপ
(১৩৩৫) প্রবন্=
2471;ে
যে কোন পদ্য ক=
2454;ন
সার্থক কাব্=
79;
হয়ে ওঠে সে
কথা বোঝাতে
গিয়ে আবার
বিদ্যাপতির
‘যব গোধূলি
সময় বেলি’
পদটির শরণাপ=
72;্ন
হয়েছেন
রবীন্দ্রনাö=
9;:
“দেবালয় থেকে
বাহির হয়ে
গোধূলির
অন্ধকারের ভ=
95;তর
দিয়ে সুন্দর=
96;
চলে গেল, এই
একটি তথ্যকে
কবি ছন্দে
বাঁধলেন--
যব
গোধূলি সময়
বেলি
ধনি
মন্দির বাহি=
80;
ভেলি,
নবজলধরে
বিজুরিরেহা
দ্বন্দ্ব
পসারি গেলি।
=
68;িন
লাইনে আমরা
একটি
সম্পূর্ণ রূ=
74;
দেখলুম-- সামা=
2472;্য
একটি ঘটনা
কাব্যে
অসামান্য হয়=
03;
রয়ে গেল।” বø=
2;া
বাহুল্য যে,
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
লেখনীর যাদু=
68;ে
এই বহু পরিচি=
468;
পদটি পাঠক
মনেও অসাধার=
67;
হয়ে গেঁথে রই=
482;। =
=
47;ছাড়াও
বিদ্যাপতির
পদের উদ্ধৃত=
95;
ও উল্লেখ ছড়ি=
527;ে
আছে
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
আরও বিভিন্ন
প্রবন্ধে।
তবে প্রথম
দিকের প্রবন=
09;ধগুলিতে
যেমন
বিদ্যাপতির
কবিসত্তার
বিস্তারিত
বিশ্লেষণ পাওয়া
যায়, পরবর্তী
সময়ে
সেরকমভাবে প=
94;ওয়া
যায় না। মূলত
বৈষ্ণব
পদাবলীর
উদাহরণের মা=
71;্যমে
সাহিত্যের
বিভিন্ন তাত=
09;ত্বিক
বিষয়কে তুলে
ধরাই পরবর্ত=
96;
প্রবন্ধগুলù=
5;র
মূল লক্ষ্য
হয়ে উঠেছে।
এই লক্ষ্যকে
সম্পূর্ণতা
দানে
বিদ্যাপতির =
74;দাবলী
এক
গুরুত্ত্বপù=
8;র্ণ
ভূমিকা পালন
করেছে বলা
যায়। আরেক=
463;ি
বিষয়ও এই
আলোচনায়
লক্ষণীয়; তা
হল, বিদ্যাপত=
495;
সম্পর্কে
প্রথম জীবনে
রবীন্দ্রনাö=
9;
কিছুটা বিরূ=
74;
মন্তব্য করে
থাকলেও পরিণ=
68;
জীবনে বারবা=
80;
তাঁর লেখনীত=
03;
বিদ্যাপতির
কবিতা সম্বন=
09;ধে
মুগ্ধতার কথ=
94;
উঠে এসেছে। প্রথম =
460;ীবনে
যে
বিদ্যাপতির
কবিতায় ভোগ ও
চাঞ্চল্য দে=
54;েছেন,
সেই কবিরই
বিরহের পদ
পরবর্তী সময়=
03;
তাঁর
আধ্যাত্মিক
মননকে
উদ্দীপিত
করেছে। বিদ্=
79;াপতির
কাব্যপ্রতি÷=
7;া
সম্পর্কে
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
ভাবনা-চিন্ত=
94;র
এই
ক্রমপরিণতি
ধরা পড়েছে এই
সব
প্রবন্ধে।
=
76;িদ্যাপতির
প্রবন্ধের
আলোচনার শেষ=
03;
বিদ্যাপতির
মৈথিলী পদের
রবীন্দ্রনাö=
9;
কৃত বাংলা
তর্জমা সম্পরú=
9;কে
একটি
সংক্ষিপ্ত রূপরে=
54;া
প্রদত্ত হল।
=
35;৮৮২
সালে
এশিয়াটিক
সোসাইটি থেক=
03;
প্রকাশিত হয়
গ্রিয়ার্সন
এর মৈথিলী প=
দসংগ্রহ।
এতে ছিল
বিদ্যাপতির
উৎকৃষ্ট
মৈথিলী
পদগুলি। বর্=
68;মানে
এটি
বিশ্বভারতীø=
0;
রবীন্দ্র-ভব=
72;
অভিলেখাগারú=
3;
সংরক্ষিত।
রবীন্দ্রনাö=
9;
১৮৮৪ সালের ১=
536;
ফেব্রুয়ারি
গ্রন্থটি
ক্রয় করেন এব=
434;
অভিনিবেশ
সহকারে
পদগুলি পাঠ
করেন।
গ্রন্থটিতে =
88;ংকলিত
বিদ্যাপতির
বিরাশিটি
মৈথিলী কবিত=
94;র
মধ্যে তিয়াত=
09;তরটি
তিনি বাংলায়
কোনটি আংশিক,
কোনটি-বা পূর=
509;ণাঙ্গ
রূপান্তর
করেছিলেন।
শুধু তাই নয়,
দুর্বোধ্য
মৈথিলী
শব্দের
অনেকগুলির
বাংলা অর্থও
তাঁর
স্বহস্তে
গ্রন্থে
লিখিত আছে।
রবীন্দ্রনাö=
9;-কৃত
সেইসব তর্জম=
94;
ও রূপান্তরে=
80;
কয়েকটি
উদাহরণ এখান=
03;
তুলে ধরা গেল=
404;
গ্রন্থটি
বাঁধানোর সম=
27;
পাশ থেকে
পৃষ্ঠা কেটে
যাওয়ায়
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
কিছু লেখা
সম্পূর্ণ
পাওয়া যায় না;
সেগুলির সম্=
77;াব্য-পাঠ
তৃতীয়
বন্ধনীর
মধ্যে দেওয়া
হল।
(১)
পৃষ্ঠা ৪২, পদ
নং-১, মূল পঙ<=
span
lang=3DBN-BD style=3D'font-size:13.0pt;font-family:"Times New Roman","serif=
";
mso-bidi-language:BN-BD'>̖ক্ত=
495;: ‘নীজ কর কমল
আনি তুঅ
দেবা।।’
রবীন্দ্রনাö=
9;
এই ছত্রটির
নীচে পেন্সি=
82;
দিয়ে
রেখাঙ্কিত
করে ডান পাশে
প্রশ্নবোধক (?)
চিহ্ন দিয়ে
লিখেছেন- “[ দে ] =
76;তা
নিজ করকমলে
আনিয়া থুইয়া
গেছে।”
(২)
পৃষ্ঠা ৪২, পদ
নং-৩, মূল পঙ<=
span
lang=3DBN-BD style=3D'font-size:13.0pt;font-family:"Times New Roman","serif=
";
mso-bidi-language:BN-BD'>̖ক্ত=
495;:
‘অপ্পন কাজ
কব্যোন নহি
বন্ধ।’ এর বাঁ
পাশে লেখা-
“আপন কাজ কেনা
করে।” পৃষ্ঠা=
480;
নীচে
তারকা-চিহ্ন
দিয়ে লিখেছে=
72;-
“মনমথ পাঠ
পহিল অনুবন্&=
#2471;।
অনুবন্ধ- Devotion, Service devotes attendance.”
(৩)
পৃষ্ঠা ৪৩, পদ ন=
2434; ৩, মূল প=
2457;̖ক্ত=
495;:
‘বড় অনুরোধ
বড়া পয় রাখ।।’
এটি শেষের পঙ̖ক্তি
এবং কোন রকম
রেখাচিহ্ন
দেওয়া নেই।
তবে ডান পাশে
লেখা- “বড়র
অনুরোধ বড়তে=
39;
রাখে।”
(৪)
পৃষ্ঠা ৪৩, পদ
নং ৪, মূল পঙ<=
span
lang=3DBN-BD style=3D'font-size:13.0pt;font-family:"Times New Roman","serif=
";
mso-bidi-language:BN-BD'>̖ক্ত=
495;:
‘এক সরঁ মনমথ
দুহু জিব
মার।। নীচে
লেখা- “মন্মথ এ&=
#2453;
শরে দুঁহু
প্রাণে মারে=
04;”
(৫)
পৃষ্ঠা ৪৩, পদ
নং ৬, মূল পঙ<=
span
lang=3DBN-BD style=3D'font-size:13.0pt;font-family:"Times New Roman","serif=
";
mso-bidi-language:BN-BD'>̖ক্ত=
495;:
‘সপনউঁ রূপ
বচন এক
ভাখিয়ে/ মুখ
সঁ দূরি করু
চীরে।।’
রবীন্দ্রনাö=
9;
ছত্র দুটির
পাশে তারকা
চিহ্ন দিয়ে
নীচে লিখলেন-
“এক
স্বপ্নরূপ,
মুখ হইতে বস্=
468;্র
খুলিয়া এক কথ=
494;
কহিল।” একই
পদের প্রথম প=
457;̖ক্তি=
468;ে
‘পাওলি’
শব্দটি
রেখাঙ্কিত
করে ডান পাশে
লেখা-
“প্রাপ্ত হওয়=
494;
=3D হওয়া।”
(৬)
পৃষ্ঠা ৪৪, পদ
নং ৬, মূল পঙ<=
span
lang=3DBN-BD style=3D'font-size:13.0pt;font-family:"Times New Roman","serif=
";
mso-bidi-language:BN-BD'>̖ক্ত=
495;:
‘কৈ বেরি কাটি
বনাওল নব কয়’।
পৃষ্ঠার উপর
দিকে লেখা-
“কতবার কাটিয়=
494;
নুতন করিয়া
বানাইল।”
(৭)
পৃষ্ঠা ৪৪, পদ
নং ৬, মূল পঙ<=
span
lang=3DBN-BD style=3D'font-size:13.0pt;font-family:"Times New Roman","serif=
";
mso-bidi-language:BN-BD'>̖ক্ত=
495;:
‘ই সভ লছমি
সমানে।’ ডান
পাশে
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
তর্জমা- “এ সকল
(অঙ্গপ্রত্য=
57;্গ)
লক্ষ্মীর
সমান।”
(৮)
পৃষ্ঠা ৪৪, পদ
নং ৭, মূল পঙ<=
span
lang=3DBN-BD style=3D'font-size:13.0pt;font-family:"Times New Roman","serif=
";
mso-bidi-language:BN-BD'>̖ক্ত=
495;:
‘তুঅ অভিসার
কয়লি জত
সুন্দরি-/
কামিনি করু ক=
503;
আনে।।’ ডান
পাশে তর্জমা-
“সুন্দরী রমণ=
496;
তোমার অভিসা=
80;
যত করিয়াছে,
এত আর কে
করিয়াছে?”
(৯)
পৃষ্ঠা ৪৪, পদ
নং ৭, মূল পঙ<=
span
lang=3DBN-BD style=3D'font-size:13.0pt;font-family:"Times New Roman","serif=
";
mso-bidi-language:BN-BD'>̖ক্ত=
495;:
‘কাম প্রেম
দুঔ এক মত ভয়
রঔ / কখনে কী ন
করাবে।।’ ডান
পাশে লেখা-
“কাম প্রেম
উভয়ে যদি একম=
468;
হইয়া থাকে তব=
503;
কখন্ কি না
করায়।”
(১০)
পৃষ্ঠা ৪৫, পদ
নং ৮: ‘ব=
503;য়াজ’
শব্দটির নীচ=
03;
রেখাঙ্কিত
করে পাশে লেখ=
494;
‘concent’.=
‘গোএ=
;’
শব্দটির নীচ=
03;
রেখাঙ্কিত
করে পাশে লেখ=
494;
‘গোপন করে’।
‘উকুতি’
শব্দটির নীচ=
03;
রেখাঙ্কিত করে
পাশে লেখা
‘উক্তি’।
(১১)
পৃষ্ঠা ৪৬, পদ
নং ১১, মূল পঙ<=
/b>̖ক্ত=
495;:
‘বিহ মোর পরসন
ভেল। রঘুপতি
দরসন দেল।।’ ‘প&=
#2480;সন’
শব্দটির নীচ=
03; রেখাঙ্কিত
করে বাঁ পাশে
লেখা-‘প্রসন্=
472;’।
আবার ‘রঘুপতি’-&=
#2480;
নীচে
রেখাঙ্কিত
করে ডান পাশে
মন্তব্য
করেছেন-“রঘুপ=
468;ি
কেন? বিধাতা
প্রসন্ন হওয়=
94;
এবং রঘুপতির
দর্শন পাওয়া
বোধ করি একই
কথা।”
(১২)
পৃষ্ঠা ৪৬, পদ
নং ১৩, মূল পঙ̖ক্ত=
495;:
‘পূরুব সুকৃত
ফল কেদঔ পাওত/
মদন মহা সিধি
আজে।।’ ডান
পাশে তর্জমা-
“পূর্ব্য
সুকৃত ফলে মদ=
472;
মহাসিদ্ধি ক=
03;
আজ পাইতেছে?”
এছাড়াও
সম্পূর্ণ
পদের
পূর্ণাঙ্গ
রূপান্তরও
আছে বেশ
কয়েকটি। সেগ=
97;লি
থেকে দুটি
উদাহরণ দেওয়=
94;
হল–
(১) পৃষ্ঠù=
4;
৪২, পদ নং ২, মূল
পদ: “কণ্ট=
453;
মাহ কুসুম
পরগাসে।/ বিক=
482;
ভমর নহিঁ পাব=
469;ি
বাসে।।/ ভমরা
ভরমে রমে সভ
ঠামেঁ।/ তুঅ
বিনু মালতি
নহিঁ বিসরাম=
03;।।/
ও মধুজীব
তোঁহৈঁ
মধুরাসে।/
সংচি ধরিএ মধ=
497;
মনহিঁ লজা
সে।।/আপন হুঁ
মন দয় বুঝু অব=
2455;াহে।/
ভমর মরত বধ
লাগত কাহে।।/
ভনহিঁ
বিদ্যাপতি
তৌঁ পয় জীবে।/
অধর সুধা রস
জৌঁ পয়
পীবে।।” এই পদ=
2503;র
বাঁ দিকে
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
রূপান্তর লি=
54;িত
এইভাবে: “ক=
467;্টক
মাঝারে কুসু=
78;
পরকাশ।/ বিকল
ভ্রমর সেথা
নাহি পায়
বাস।।/ ভরম
ভরে ভ্রমর
রমিছে নানা
ঠাঁই।/ তুহু
বিনা হে মালত=
496;
বিশ্রাম
নাই।।/ ও যে
মধুজীবী
তোমার মধু
চায়।/ সঞ্চিত
রেখেছ মধু
মনের লজ্জায়=
04;।/
আপনার মন
দিয়া বুঝ
সুবিচারে।/
ভমর বধের দায়
লাগিবে
কাহারে?/
বিদ্যাপতি
ভণয়ে তখনি
পাবে প্রাণ।/
অধর পীযূষ রস
যদি করে
পান।।”
(২) পৃষ্ঠù=
4;
৬২, পদ নং ৪৪,
মূল পদ: “=
482;োচন
অরুণ বুঝলি ব=
524;
ভেদ।/ রৈনি
উজাগরি গুরু=
37; নিবেদ।।/
ততহিঁ জাহ হর=
495;
ন করহ লাথ।/
রৈনি গমৌলহ
জনিকেঁ সাথ।=
04;/
কুচ কুংকুম
মাখল হিঅ
তোর।/ জনি
অনুরাগ রাগি
কর গোর।।/ আনক
ভূষণ লাগল
অংগ।/ উকুতি
বেকত হোঅ আনক
সংগ।।/ ভনহিঁ
বিদ্যাপতি
বজবহুঁ বাধ।/
বড়াক অনয় মৌন
পয় সাথ।।” বাঁ
দিকে
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
তর্জমা: “ন=
527;ন
অরুণ ইহার ভে=
470;
বুঝিতেছি।
রাত্রি জাগর=
67;
গুরু
নির্বেদ। [এই
ছত্রটি মূল প=
457;̖ক্তি=
480;
ঠিক উপরে লেখ=
494;
ছিল]। হরি আর
ভাণ করো না। য=
2494;র
সঙ্গে রাত
কাটালে তাঁর
কাছে যাও।
কুচ-কুঙ্কুম =
468;োর
হৃদয়ে মাখল। =
479;েন
অনুরাগের
রঙ্গে গৌর
করিয়াছে।
অন্যের ভূষণ
অঙ্গে লাগিল=
04;
ইহাতে অন্যে=
80;
সঙ্গ ব্যক্ত =
489;ইতেছে।
বিদ্যাপতি
ভণে, এরূপ বলা
ভাল নয়। বড়র অ=
2472;্যায়
মৌন থাকাই
উচিত।”
=
76;িদ্যাপতির
কবিতার প্রত=
95;
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
আগ্রহের
স্বাক্ষর বহ=
72;
করছে এই
তর্জমাগুলিð=
4;
তবে লক্ষণীয়
যে এই পদগুলি
কিন্তু
আমাদের জানা
বিদ্যাপতির
পদাবলী নয়।
অর্থাৎ বৈষ্=
67;ব
পদসাহিত্যে
বিদ্যাপতির
নামে প্রচলি=
68;
পদগুলির অন্=
68;র্ভুক্ত
নয় এই মৈথিলী
কবিতাগুলি।
তথাপি
রবীন্দ্রনাö=
9;
অত্যন্ত
ধৈর্য্য ও
নিষ্ঠার সঙ্=
55;ে
এই মৈথিলী
পদসমূহের
অর্থ উদ্ধার
করেছেন এবং
যেখানে
নিঃসংশয়িত
হতে পারেন নি,
সেখানে নিজস=
09;ব
ধারণা থেকে
অর্থ লিখে তা=
480;
পাশে প্রশ্ন=
76;োধক
চিহ্ন
দিয়েছেন।
তাঁর এই
উদ্যম, জিজ্ঞ=
494;সা
ও অনন্ত
কৌতূহলকে
কুর্নিশ
জানাতেই হয়।
=
76;িদ্যাপতির
সঙ্গে
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
সংযুক্তি
বহুমাত্রিকö=
8;ায়
রঞ্জিত। =
কখনো
সমালোচক রূপ=
03;
তিনি
বিদ্যাপতির কবিতার
নেতিবাচক দি=
53;
তুলে আনছেন, আ=
2476;ার
কখনো সাহিত্=
79;িকের
দৃষ্টি দিয়ে
বিদ্যাপতির
কাব্যমঞ্জুø=
7;ার
মণিখণ্ড মেল=
03;
ধরছেন পাঠকে=
80;
সামনে। কখনো =
476;া
এক বিশেষ
প্রজ্ঞা নিয়=
03;
সাহিত্যের
গভীর তত্ত্ব=
77;িত্তিক
আলোচনায় অতি
সাবলীল
ভঙ্গিমায় বি=
70;্যাপতির
কবিতাকে
উদাহরণ
হিসেবে
প্রয়োগ করছে=
72;।
তাঁর এইসব
প্রবন্ধ পাঠ
করলে বোঝা
যায়, বিদ্যাপ=
468;ির
কবিতাকে তিন=
95;
কতটা
নিবিড়ভাবে
আত্মস্থ করত=
03;
পেরেছিলেন।
তাই প্রথম
দিকের কোন
প্রবন্ধে
বিরূপ
মন্তব্য
করলেও এ কথা
নিঃসন্দেহে
বলা চলে যে
চৈতন্য
পূর্ববর্তী
যুগের অন্যত=
78;
প্রধান এই
কবির প্রতি
আন্তরিক
শ্রদ্ধা ও
ভালোবাসা না
থাকলে বারবা=
80;
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
রচনায়
বিদ্যাপতির
উজ্জ্বল উপস=
09;থিতি
ঘটতো না এবং
তাঁর পদবন্ধ=
51;
ফিরে ফিরে
আসতো না রবীন=
509;দ্রনাথের
লেখনী-প্রান=
09;তে।
=
38;লোচনার
শেষে বলা যায়
যে, বিদ্যাপত=
495;র
প্রসঙ্গযুকú=
9;ত
এই সব
প্রবন্ধের ম=
94;ধ্যমে
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
হাত ধরে
বৈষ্ণব পদাব=
82;ীর
এই ‘অভিনব
জয়দেব’ আধুনি=
453;
সাহিত্যানুø=
0;াগী
পাঠকের কাছে
অতি সহজে পৌঁ=
459;ে
যেতে পেরেছে=
72;
এবং তাঁর
কাব্যপ্রতি÷=
7;া
সম্পর্কে রবীন্÷=
0;্রনাথের
মূল্যবান
মন্তব্য বাং=
82;া
সাহিত্যকে
অত্যন্ত ঋদ্=
71;
করেছে।
=
span>
সহায়ক
গ্রন্থ /
পত্রিকা:
=
u>
১)
গ্রিয়ার্সন
সম্পাঃ মৈথি&=
#2482;ী
পদ সংগ্রহ,
১৮৮২,
এশিয়াটিক
সোসাইটি।
২)
ভারতী,
শ্রাবণ ১২৮৮=
04;
৩)
ভারতী, কার্=
468;িক
১২৮৮।
৪)
ভারতী,
ফাল্গুন
১২৮৮।
৫)
ভারতী,
শ্রাবণ ১২৮৯=
04;
৬)
রবীন্দ্র
রচনাবলী
শতবার্ষিকী
সং, খণ্ড ১৫,
১৪০৮ বৈশাখ,
পঃ বঃ সরকার। =
span>
৭)
রবীন্দ্র
রচনাবলী, (খণ্ড ১-খণ্=
65;
২৮)
বিশ্বভারতীð=
4;
৮)
সাধনা, চৈত্=
480;
১২৯৮।
বিদ্যাপতি
প্রসঙ্গে
রবীন্দ্রনাö=
9; =
পা=
53;ীজা
মঞ্জরী
চৌধুরী
=