MIME-Version: 1.0 Content-Type: multipart/related; boundary="----=_NextPart_01D27D9E.C725E560" This document is a Single File Web Page, also known as a Web Archive file. If you are seeing this message, your browser or editor doesn't support Web Archive files. Please download a browser that supports Web Archive, such as Windows® Internet Explorer®. ------=_NextPart_01D27D9E.C725E560 Content-Location: file:///C:/1B781941/file5617.htm Content-Transfer-Encoding: quoted-printable Content-Type: text/html; charset="windows-1252"
A
IS=
SN: 2278-5=
264 (Online) 2321=
-=
93=
19 (Print)
Im=
pact Factor: 6.=
28 (=
I=
ndex Copernicus
International)
Volume=
-V, Issue-III,
January 2017, Page No. 01-12
P=
u=
blished by Dept.
of Bengali, Karimganj College, Karimganj,
Assam, India<=
span
style=3D'font-family:"Cambria","serif";mso-fareast-font-family:"Times New R=
oman";
mso-bidi-font-family:Cambria;mso-bidi-language:BN-BD'>
হেমন্তব=
94;লা
দেবীর কবিতা =
451;
রবীন্দ্রনাö=
9; :
কিছু প্রসঙ্=
55;
দেবাঞ্জ=
72;া
সাধুখাঁ
গবেষক,
Abstract
Of all the luminaries who corresponded with
Tagore (1861-1941), Hemantabala Debi (1894-1975)
requires a special mention. A classicist in her preferences, she sought ref=
uge
in Tagore's philosophy to ease the difficulties of her troubled life. She w=
rote
more than 300 letters to him. Tagore wrote 264. The correspondence continue=
d for
ten years-- 1931-1941. Her introspective queries persuaded Tagore to make a=
spontaneous
revelation of his religious ideas in many of these letters. To the master, =
the
disciple unveiled her mind, disclosed her preferences, convictions, beliefs,
notions, and confessed her doubts. =
;
Blessed by Tagore’s love, Hemantabala
was inspired to write though much of her works remained unpublished. She wr=
ote
many poems in these letters. The themes of her poems are varied: they speak=
of
her personal relation with Tagore, her wishes and dreams, the triumphs and
tribulations of everyday life, her search for transcendence and even s=
ome
recipes!
It would be unwise to treat Hemantab=
ala
as a mere recipient of Tagore's letters. She is an institution in herself. =
Her
stories, novels, essays prove her worth as a litterateur. The present study
would essay to read some of the poems that she wrote on Tagore and shared w=
ith
him.
= Keywords: Rabindranath Tagore, Hemantabala Debi, Letters, Poems, Unpublished Works.<= o:p>
অধুন=
;া
বাংলাদেশের
মৈমনসিংহের
গৌরীপুরের
জমিদার
ব্রজেন্দ্রõ=
3;িশোর
রায়চৌধুরীর
জ্যেষ্ঠা
কন্যা, নাটোরে=
80;
মহারাজা
জগদীন্দ্রনù=
4;থ
রায়ের বোন শর=
510;সুন্দরী
দেবীর পুত্র
ব্রজেন্দ্রõ=
3;ান্ত
রায়চৌধুরীর
স্ত্রী ছিলে=
72;
হেমন্তবালা
দেবী। একেবা=
80;েই
ভিন্ন
প্রেক্ষাপটú=
3;র
অস্তিত্বে
বাঁচা এক
নারীর বিদ্র=
07;হ
নিহিত ছিল
তাঁর মধ্যে।
তিনি ছিলেন
অভিজাত
হিন্দু
রক্ষণশীল
ব্রাহ্মণ
পরিবারের অন=
09;তঃপুরিকা।
১৯০৫-এ মাত্র
দশ বছর বয়সে
বিবাহের পর
তিনি যান শ্ব=
486;ুরালয়ে।
স্বামীর
সঙ্গে সঠিক
পরিচয়ের
পূর্বেই ১৯১=
38;-১&=
#2539;
সাল নাগাদ
তাঁকে স্বাম=
96;র
কাছ থেকে
সরিয়ে নিয়ে
বৈষ্ণবধর্মú=
3;
দীক্ষিত করে =
470;েওয়া
হয়। মা
অনন্তবালা
দেবী যিনি
অনুপ্রেরণা
জোগাতে
পারতেন, দ&=
#2509;বিধামুক্ত
করতে পারতেন, ত&=
#2495;নিই
জোর করে
দীক্ষিত করে
দেন
বৈষ্ণবধর্মú=
3;।
স্বামীসান্÷=
2;িধ্যে
থাকতে বাধা
দেন। একদিকে
হেমন্তবালাø=
0;
নিজের পিত্র=
94;লয়
অন্যদিকে
শ্বশুরালয়েø=
0;
পারস্পরিক
দ্বন্দ্বে
ক্ষত-বিক্ষত
হেমন্তবালা
রয়ে গেলেন এক=
494;, ন&=
#2495;ঃসঙ্গ।
এক কন্যা, এ&=
#2453;
পুত্রের জন্=
78;, দ&=
#2509;বিধায়িত
জীবন, সংসারী
হয়েও কখনো
যথার্থ
সংসারী হয়ে
উঠতে না পারা, দ&=
#2509;বিধাদীর্ণ, ব&=
#2495;দ্রোহী
হেমন্তবালাø=
0;
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
সঙ্গে
পত্রালাপ
শুরু হয় ১৯৩১
সাল থেকে এবং
সেই সময় থেকে=
439;
তাঁর সাহিত্=
79;
সৃষ্টির
যথার্থ সূত্=
80;পাত।
হেমন্তব=
94;লা
দেবী ছিলেন
স্বশিক্ষিতù=
4;।
নিজের
চেষ্টাতেই
শিখেছিলেন
বাংলা, সংস্কৃ=
68;, হ&=
#2495;ন্দি, ই&=
#2434;রেজি, ক&=
#2480;েছিলেন
শাস্ত্র ও
সাহিত্য পাঠ=
04;
কবিগুরু রবী=
72;্দ্রনাথের
কাছে তাঁর
রচনা পড়ে
মুগ্ধ জোনাক=
95;
ওরফে
হেমন্তবালা
চিঠি পাঠিয়ে=
59;িলেন, উ&=
#2468;্তরও
পেয়েছিলেন।
সেটা ছিল ১৯৩=
535;। তারপর
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
পরলোকগমন
অর্থাৎ ১৯৪১
সাল পর্যন্ত
অব্যাহত ছিল
সেই
পত্রধারা। র=
76;ীন্দ্রনাথে=
2480;
অনুপ্রেরণাö=
8;েই
তাঁর সাহিত্=
79; প্রতিভা
বিকশিত হয়ে
উঠেছিল।
কিন্তু
বহুদিন তিনি
লোকচক্ষুর
অগোচরেই ছিল=
03;ন।
সাহিত্যের
বেশিরভাগ
প্রকরণেই ছি=
82;
তাঁর অবাধ
গতায়ত।
রবীন্দ্রনাö=
9;
মুগ্ধ হয়েছি=
82;েন
তাঁর লেখায়।
১৯৩১=
;-১&=
#2543;৪১
–এই
দশ বছরে
রবীন্দ্রনাö=
9;কে
লেখা
হেমন্তবালাø=
0;
যতগুলি চিঠি
পাওয়া যাচ্ছ=
03; তার
মধ্যে বহু
চিঠিতেই তিন=
95;
গুরুদেবকে
পাঠিয়েছেন
কবিতা লিখে।
তারিখ দিয়ে
চিঠি লেখার
অভ্যেস
হেমন্তবালাø=
0; প্রায়
ছিল না। তাই
কবিতাগুলির
রচনাকাল ১৯৩=
35;-১&=
#2543;৪১-এ&=
#2480;
মধ্যেকার
যেকোনো সময়ই
হতে পারে।
তাছাড়াও বেশ
কিছু কবিতা
রয়েছে যেগুল=
95;
পাঠ করলে বোঝ=
494;
যায়
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
মৃত্যুর পর
তাঁকেই কবিত=
94;র
বিষয় করেছেন
হেমন্তবালা
দেবী।
হেমন্তব=
94;লা
দেবী
রবীন্দ্রনাö=
9;কে
প্রথম চিঠি
লিখেছিলেন
১৯৩১ সালে। প=
509;রথম
চিঠিটিই ছিল
কবিতা। তবে
কবিতাটি পাও=
27;া
সম্ভব হয়নি।
কিন্তু এ
প্রসঙ্গে
হেমন্তবালা
তাঁর ‘পুরানো=
70;িনের
কথা’য় লিখছেন =
span>:
“...পরিচয়
না দিয়েই ‘জ&=
#2507;নাকি
দেবী’ ছদ্মন=
;ামে
একটি কবিতায়
অভিনন্দন
জানালাম তাঁ=
53;ে।
কবিতাটির
পংক্তি ছিল=
, ‘ও&=
#2455;ো
যোগাযোগ, শ&=
#2503;ষের
কবিতা
প্রণেতা।’
কবিত=
;া
দিয়েই শুরু
হয়েছিল
রবীন্দ্রনাö=
9;-হ&=
#2503;মন্তবালার
দশ বছরের
পত্রমিতালীø=
0;
দৃঢ় সম্পর্ক=
04;
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
যোগাযোগ, শেষের
কবিতা প&=
#2524;ে
শান্ত হয়েছি=
82;
হেমন্তবালা
দেবীর মন। হে=
478;ন্তবালার
শিক্ষাগুরু, দ&=
#2496;ক্ষাগুরু
শ্রীশ্রীঠাõ=
3;ুর
তখন সবে
প্রয়াত কিন্=
68;ু
সেই প্রয়াণে=
80;
খবর পেয়েও
স্বামীর আপত=
09;তিতে
তিনি সেখানে
যেতে পারেনন=
95;, গ&=
#2499;হী
জীবনে আটকে
থাকতে তিনি
বাধ্য
হয়েছিলেন।
তাই বিদ্রোহ
করে সিনেমা
দেখা, নাটক-ন&=
#2477;েল
পড়া শুরু
করেছিলেন, স&=
#2503;ইসময়ই
তাঁর হাতে আস=
503;
রবীন্দ্র
উপন্যাস। দি=
86;া
পান
হেমন্তবালাð=
4;
রবীন্দ্রনাö=
9;
যে তাঁরই মত
একটি নারীর
কথা লিখেছেন
তাঁর রচনায়।
আর তখনই
কবিতায় সবার
অজান্তে
প্রণাম
পাঠিয়ে দেন র=
476;ীন্দ্রনাথে&=
#2480;
কাছে।
রবীন্দ্=
80;নাথকে
দ্বিতীয়
কবিতাটি
পাঠান ১০
ফেব্রুয়ারি, ১&=
#2543;৩১-এ&=
#2404;
কবিতাটি
নামহীন :
‘জোনাক=
;ি
চায় রবি! চ&=
#2480;ণে
তব,’ ২
কবিত=
;াটিতে
আছে একটি
নিবেদন, এ&=
#2453;টি
ভিক্ষা।
শ্রীশ্রীঠাõ=
3;ুর
সদ্য প্রয়াত =
468;খন।
আশ্রম আর
সংসারের
টানাপোড়েনে
দিশেহারা হে=
78;ন্তবালা
চাইছেন
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
শরণ নিতে। আর
তারই কাতর
প্রার্থনা ধ=
09;বনিত
হয়েছে
কবিতাটিতে।
নিজেকে,
নিজের
যন্ত্রণাকে
তিনি যেন তুল=
503;
ধরতে চাইছেন
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
কাছে :
‘যে গা÷=
2;
দিয়ে গেছে
আমার কানে
জপিত=
503;
আজীবন ধরে
যে গা÷=
2;
ছাড়া মোর জগত
মাঝে
নিজে=
80;
আর কিছু নাই
সে গা÷=
2;
ভুলে গেছি,
=
স্মরণে ফির=
03;
পেতে চাই।।=
’ =
৩
২৮/০&=
#2535;/৩&=
#2542;-এ
লেখা
হেমন্তবালাø=
0;
রবীন্দ্রনাö=
9;কে
প্রেরিত পরে=
80;
কবিতাটিরও
নাম নেই।
কবিতাটি ভার=
95;
মজার। একটি
কাঁথায় কিংব=
94;
ব্যাগে
কবিগুরুকে
চুরি করে সবা=
480;
অলক্ষ্যে
প্রকৃতির
সান্নিধ্যে
নিয়ে যেতে
চাইছেন তিনি। যেখানে
বৃদ্ধ
গুরুদেবকে
তিনি শিশু কর=
503;
নিয়েছেন
এমনকি তাঁর
রচিত গানগুল=
95;
গাইয়েও
নিয়েছেন
তাঁকে দিয়েই=
04;
কিন্তু
কিছুতেই যে
হেমন্তবালাø=
0;
ইচ্ছেপূরণ
হচ্ছে না। তা=
439;
তো এত কষ্ট
তাঁর :
‘হরিণছ=
;ানার
সঙ্গে তুমি
করতে
ছুটোছুটি
সিংহশ=
;িশুর
পিঠে বসে গণ্=
204;তে
দশন দুটি –
উপল <=
i>‘পরে,
আপন-রচা
গান ক’খানি
গাইতে তুমি
নিজে
পাহাড়
পাখী ভুলে যে=
468;
তাহার আপন গা=
472;
তোমার
সুরেই সুর
মিলিয়ে ধরত
নূতন তান
স্বপ্=
;ন
সফল হয় না তো
মোর ওগো স্বপ=
472;-সাথি
কি কর÷=
6;
আর, তাইতো
শুধুই ছড়া
মালা গাঁথি।’ =
৪
কবিত=
;ায়
‘তুমি’ স&=
#2478;্বোধন
করছেন
হেমন্তবালা
কবিগুরুকে।
বোঝা যায়
সম্পর্কটি
কতটা আন্তরি=
53;
ছিল। পরপর এই
দুটি কবিতাই
প্রকাশিত
হয়েছে কবিকú=
3;
লেখা চিঠি=
রবীন=
;্দ্রনাথকে
হেমন্তবালা
যেসব কবিতা
পাঠিয়েছেন
তার
বেশিরভাগই
স্তুতিমূলকð=
4;
যেন রবীন্দ্=
80;নাথকে
ভজনা করছেন
তিনি। তাঁর
অতুল গুণের
সামনে
দাঁড়িয়ে
নিজেকে
হেমন্তবালা
ক্ষুদ্র
বলছেন কখনো, ক&=
#2454;নো
বা বলছেন ‘র&=
#2476;ি’ ব&=
#2524;
হতে পারেন
কিন্তু ‘জ&=
#2507;নাকি’ ত&=
#2494;ঁর
থেকে আলো নিয়=
503;
নিজে আলোকিত
হয় না। সুতরা=
434;
জোনাকিও মাথ=
94;
তুলতে পারে
স্পর্ধায়।
নামহীন, ত&=
#2494;রিখহীন
অনেক কবিতা
নিবেদিত
হয়েছে
কবিগুরুর
প্রতি :
‘কচি
কোমল
কদলীপত্র
গাঁথিয়া
আসন
তোমার রেখেছ=
95;
পাতিয়া।
মল্লি=
;কা
মালা দিয়েছি
বুলায়ে
যেখানে যেমন
সাজে।’ ৫
আবার কখন=
507;
অন্য কবিতায়
গুরুদেবকে
নিবেদন করেছ=
03;ন
অন্তরের
প্রণাম।
যাঞ্চা
করেছেন আশীর=
09;বাদ
:
‘তুমি
মোরে কর
আশীর্ব্বাদ’
সকল
অন্তর দিয়ে ও চরণে
প্রণমিয়ে
=
মাগ=
495;
আমি তোমার
প্রসাদ।’
৬
ঐ একó=
9;
কবিতায়
হেমন্তবালা
গুরুদেবের
কাছে যদি
কোনোভাবে
জ্ঞানে-অ&=
#2460;্ঞানে
দোষ করে থাকে=
472;
তবে তার জন্য
ক্ষমাও প্রা=
80;্থনা
করছেন :
‘আমার
কতই দোষ করিও
না তাহে রোষ
আশুতোষ তুম=
95;
স্নেহময়’
৭
আবার
অন্য একটি
কবিতায় কবিক=
03;
বলছেন
যেখানেই তিন=
95;
যাবেন সঙ্গে
করে হেমন্তব=
94;লাকেও
যেন নিয়ে যান
গুরুদেব। এত
কাছের করে, এ&=
#2468;
স্নেহ-প্রশ্র=
27;
দিয়ে আর যে
কেউ কখনো কাছ=
503;
টেনে নেননি হ=
503;মন্তবালাকে&=
#2404;
তাই তাঁর
আবদার :
‘যেথা
যাও, যাও
নিয়ে, গৈরিক
আঁচল দিয়ে
ঢেকে
নাও বিশাল
অন্তরে।
লালিয়=
;া
পালিয়া
স্নেহে, এ&=
#2454;ন
এ বন-গেহে
=
একা ফেলে যে=
451;
না অন্তরে।।’<=
sup>
৮
অন্য
আর একটি
কবিতাতেও
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
শরণ চাইছেন হ=
503;মন্তবালা।
জানাচ্ছেন, র&=
#2476;ীন্দ্রনাথে=
;র
স্নেহ থেকে
কখনোই বঞ্চি=
68;
হতে পারবেন ন=
494;
তিনি :
‘চাহিনা
গো, মুক্তি
নাহি চাই
স্নেহ=
;ময়
বক্ষোতলে অবিরল=
স্নেহাঞ্চল=
03;
কিঞ্চিৎ শর=
67;
যদি পাই।’
৯
বারব=
;ার
এই শরণাগত
হবার আবেদন
ঘুরে ফিরে
এসেছে
রবীন্দ্রনাö=
9;কে
প্রেরিত
হেমন্তবালাø=
0;
কবিতায়।
‘বিশ্=
;বকবি
ও জোনাকি’, ‘জ&=
#2507;নাকির
প্রতি রবি’ ই&=
#2468;্যাদি
কবিতায় তুলে
ধরা হয়েছে
একটি কথোপকথ=
72;।
হেমন্তবালা
দেবীর
ছদ্মনাম ‘জ&=
#2507;নাকি’।
‘“হে
সবিতা! ভ&=
#2494;লবাসি,
উগ্রতেজে ত=
76;
যখন
আকাশ সুনীল
প্রভায় ঝল্=
88;ে
ওঠে
তোমা=
480;
মহিমায়
এখন
তোমার
নিষ্প্রভতা
আন্ছে মারি!
চিত্=
68;
বেদন নব
ব্যথা
কৃপার পাত্র
তুমি, ভারতে
ফোটে
=
শেল যেন
হিয়ায়।”
মুচ্=
;কে
হেসে বলেন কব=
495;, “বেশ
জোনাকি
=
বক্তৃতাটি
ভালো
ধন্যব=
;াদ!
=
তোমারি ও
মুখে!
রাত্র=
;িকালে
মিহির কভু
ঘুমায় নাকি=
?
=
থাকে না তার
আলো?” ১০=
প্রব=
;ীন
কবিকে তিনি
নবীন করে নিত=
503;
চাইছেন। যাত=
03;
আবার
ক্ষুরধার হয়
কবিগুরুর
লেখনী তাই তো
বলছেন :
‘ভুলে
যাবে বন্ধু
তুমি কত
প্রবীন
=
বিজ্ঞ পুরু=
87;
মানী
ভুলে
যাবে
বিষয়ীদের বি=
87;-বিদাহন
=
নকল ভোজন শত
জোনাক=
;ি
আজ করবে তোমা=
527;
চিরনবীন’
১১
আবার=
; ‘জ&=
#2507;নাকির
প্রতি রবি’ ক&=
#2476;িতায়
রবি ও জোনাকি=
480;
কথোপকথনে
হেমন্তবালা =
77;াবছেন
যেন রবি দেখত=
503;
চাইছেন
জোনাকিকে। র=
76;ীন্দ্রনাথক=
2503;
যখন চিঠি লেখ=
494;
শুরু করেছিল=
03;ন
হেমন্তবালাð=
4;
তখন ‘জোনাকি’
ছদ্মনামটুকù=
7;ই
ছিল আশ্রয়।
রবীন্দ্রনাö=
9;কে
হেমন্তবালা
আর কোনো পরিচ=
527;
দেননি সেদিন=
51;। পরিবারে
সবটা
জানাজানি হয়=
03;
যায় এই ছিল
হেমন্তবালাø=
0;
ভয়,
আবার সবার
সামনে নিজেক=
03;
প্রকাশ
করাতেও ছিল ত=
494;ঁর
কুন্ঠা, ত&=
#2494;ই
এই আড়ালটুকু=
80;
প্রয়োজন ছিল=
04;
রবীন্দ্রনাö=
9;
এই
আড়ালটুকুকে
শ্রদ্ধা করে=
39;
তা বজায় রেখে=
459;েন
সবসময়। অনেক
পরে তিনি
জানতে
পেরেছিলেন হ=
03;মন্তবালার
আসল পরিচয়। এ=
439;
কবিতায়
জোনাকি ওরফে
হেমন্তবালা
মনে করছেন
রবীন্দ্রনাö=
9;
যেন তাঁকে
দেখতে চাইছে=
72;, জ&=
#2494;নতে
চাইছেন তাঁর
আসল পরিচয়।
সঙ্গে রয়েছে
জোনাকির
উত্তরও :
‘ও
জোনাকি বালা!
আঁখির
আগে এসে
দাঁড়াও
দেখি
রূপের আলা”
জোনাক=
;ি
কয় “মোর পরিচ=
527;
আড়াল
থেকেই হবে
নিতে
তোমার
সাথে আমার
আলাপ
সুলভ
তো নয় ধরণীতে’<=
sup>
১২
‘রবি õ=
1;
জোনাকি’ ক&=
#2476;িতায়
হেমন্তবালা
ঠাট্টা করে
বলছেন রবির আ=
482;ো
আছে বলেই কি জ=
2507;নাকিকে
ম্লান হয়ে
থাকতে হবে? জ&=
#2507;নাকিই
বা ছোট কিসে
‘সূক্ষ=
;্ম
রূপে সূর্য্=
79;
তুমি
=
জগৎ সবিতা=
বিশ্ব=
;ে
না হয় ছড়ায়েছ
তুমিই
কবিতা।
কিন্ত=
;ু
সবাই দেখে রব=
495;!
জোনাকি তার
আপন ছবি
আপন
মনের কাব্য
লয়েই
হয়
পুলকিতা’
১৩
এত বü=
4;
একজন মানুষে=
80;
সঙ্গে
হেমন্তবালাø=
0;
সখ্যতা উচ্চ
পর্যায়েরই
ছিল তাই তিনি
এমন রসিকতা ক=
480;ে
রবীন্দ্রনাö=
9;কে
কবিতা পাঠাত=
03;
পারেন।
রবীন্দ্রনাö=
9;ও
যে কোনো
স্তরের
মানুষের সঙ্=
55;েই
পারতেন
অনায়াস
রসিকতায়
মাততে। যে
নারী কখনো
আলোকিত হতে
চাননি, আলোচিত
হতে চাননি, ত&=
#2495;নিই
রবীন্দ্রনাö=
9;কে
কেমন করে
পেয়েছিলেন এ=
78;ন
একটা
আশ্রয়স্থল
হিসেবে,
ভাবলে অবাক
হতে হয়।
‘সংবর্দ্ধনা’ ক&=
#2476;িতাটিতেও
পাওয়া যায়
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
এমনই কিছু
স্তুতিচিত্ø=
0;।
আবার
অনেক ভক্তের
ভিড়ে যদি
হারিয়ে যান
হেমন্তবালা, য&=
#2470;ি
রবীন্দ্রনাö=
9;
ভুলে যান তাঁ=
453;ে
এই আশঙ্কার
কথাও ব্যক্ত
হয়েছে একটি
নামহীন
কবিতায় :
‘লক্ষ
হিয়ার
পূজাঞ্জলি<=
i>,
সুগন্=
;ধে
প্রাণ
সুচঞ্চলি।<=
i>
ঢাকবে
রাঙা চরণ
তোমার সকল
বাঞ্ছা
পূরায়ে।।
সেদিন
কি গো থাকবে
মনে
ক্ষুদ্র
জোনাকির কথা,
সেদিন
কি গো অন্য
মনা
করবে
তোমায় তার
ব্যথা?’
১৪
এমনই
অন্য একটি
কবিতায়
হেমন্তবালাø=
0;
মনে হয়েছে
জীবনের
অনেকটা সময়
কেটে যাবার
পড়ে দেখা হয়ে=
459;ে
তাঁর
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
সঙ্গে। আরও
কিছুদিন আগে
যদি এই দেখা
হত হয়ত এত
দ্বন্দ্বায়ù=
5;ত
হত না তাঁর
জীবন। আরও
একটু বেশি
সান্ত্বনা, আ&=
#2480;ও
একটু স্নেহ
পেতেই পারতে=
72;
তিনি :
‘আর কি =
88;েদিন
আছে?
দাঁড়া=
;ব
যখন শৈশব-ম&=
#2497;খে
তোমার
কোলের কাছে=
?
.....................
আজ
আসিয়াছি এ
অপরাহ্ণে
শুষ্=
53;
ফুলের মত
উড়িয়া
গিয়াছে সৌরভ
মোর
=
হয়েছি
কীটক্ষত
তবু
মনে হয়, হ&=
#2494;রাব
না কৃপাকণা=
,
হবে নù=
4;
বিফল জীবনের
উপাসনা,
পাব
কিছু স্থান=
,
=
সিঞ্চিত
স্নেহজলে
তাইত
আশায় লুটাইত=
03;
চায়
=
এ চিত চরণ
১৮
জ্যৈষ্ঠ, ১&=
#2537;৩৮
বঙ্গাব্দে
লেখা দুটি
নামহীন
কবিতাতেও পা=
51;য়া
যায়
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
বন্দনা গান।
হেমন্তবালাø=
0;
মত ক্ষুদ্র
প্রাণকেও
গুরুদেব স্থ=
94;ন
দিয়েছেন চরণ=
03;
এ যে
হেমন্তবালাø=
0;
অনেক বড় পাওয়=
494;
:
‘ক্ষুদ=
;্রের
মান বাড়ায়েছ
তুমি, হয়েছ
স্পর্শমণি<=
i>
তাইতো
বিশ্ববল্লভ-প্রতিবিম্ব
তোমারে গণি।=
04;’<=
sup>
১৬
‘মেঘদ=
;ূত’ ক&=
#2476;িতায়
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
কাছে মেঘকে
দূত করে পাঠা=
458;্ছেন
হেমন্তবালাð=
4;
মেঘের সঙ্গে
কবিকে পাঠাচ=
09;ছেন
অন্তরের
ভক্তি, প্রণাম=
04;
আর মেঘকে
দিচ্ছেন
নির্দেশ :
‘মোর চù=
5;ত্ত-নিদর্শন
নিজরূপ
দেখাইবে তায়
বরষা=
span>-ধারায়
করিয়া
তাহারে
স্নিগ্ধ
প্রেম-প&=
#2480;শন
জিজ্ঞ=
;াসিও,
শান্তি-ব&=
#2480;ষণ।।’<=
sup>
১৭
‘ধ্রু=
;ব
জিজ্ঞাসা’ ক&=
#2476;িতায়
সুয়োরাণী, দ&=
#2497;য়োরাণীর
উল্লেখ না
থাকলেও একটি
গল্প আছে। রা=
460;ার
পুত্র হয়েও একটি
ছেলে ও তার মা
অরণ্যে
নির্বাসিত।
আসলে আমাদের
সমাজব্যবস্ö=
9;াই
যে এমন। নারী
যদি অপছন্দে=
80;
হয় তবে তাকে
নির্বাসন
দেওয়াই তো
দস্তুর। আর
সেই নারীর
সন্তান যদি
রাজার
ঔরসজাতও হয়
তাহলেও
নির্বাসিতা
নারীর
সন্তানের ভা=
80;
রাজা নেন না
কখনো। তাইতো
হরিণ শিকার
করেই মা-ছ&=
#2503;লের
পেট
প্রতিপালন
করতে হয়। সেই
রাজার ছেলে
মাকে জিজ্ঞা=
88;া
করে জানতে চা=
527;
তার
পিতৃপরিচয়, ক&=
#2503;ন
সে আজ ভিখারী
প্রশ্ন রাখে
মায়ের কাছে।
মা যখন
নিঃশব্দে
চোখের জল ফেল=
503;
তখন সে অনুভব
করে রাজ্যবল
তার দরকার নে=
439;, ত&=
#2494;র
যে মা আছে, এ&=
#2468;েই
যে তার
সারাজীবন
কেটে যাবে :
‘কোলে
নে মা, ঢেকে
নে মা, খোল্
আঁচল
তুই মù=
4;
আমার রত্ন-ভূষণ,
হেমন=
;্তবালা
রবীন্দ্রনাö=
9;কে
কিছু রূপকথা
লিখে
পাঠিয়েছিলে÷=
2;।
যার সংকলন
প্রকাশের
আগ্রহও ছিল
কবিগুরুর।
এমনই একটু
রূপকথার আদল
রয়েছে তাঁর এ=
439;
কবিতাটিতে। ‘সুনী=
;তিসম্ভাষা’, ‘প&=
#2509;রদোষিকা’, ‘ধ&=
#2509;রুবতারা’
‘পরিতপ্তা’ কবিতাটিতে
আছে
হেমন্তবালাø=
0;
জীবনের কথা, আ&=
#2453;্ষেপের
কথা :
‘যে ফুø=
2;-কলিকাটি-কুঁকড়ি’
সে কি
প্রফুট শোভা
ধরিতে পায়।=
=
যে ফল
কচিবেলা
=
ভখিল
কীটমেলা
সে কি
পাকিবে কভু র=
488;-সুধায়?’=
১৯
ছোটব=
;েলা
থেকে বাবা-ম&=
#2494;য়ের
স্বাধীনতা, প&=
#2509;রশ্রয়
পেলেও শৈশবে=
39;
তাঁর বিবাহে=
80;
সিদ্ধান্ত
ভুল জীবনের
পথে তাঁকে
ঠেলে দিল।
মাত্র ১৪/১&=
#2539;
বছর বয়সে
মায়ের জন্য
অনিচ্ছাবশতó=
9;
নিলেন বৈষ্ণ=
76;মন্ত্রে
দীক্ষা। তাই
তো এই তুলনা। =
2454;ুব
অল্প বয়সেই এ=
439;
ভুল
সিদ্ধান্ত ও
পারিবারিক
দ্বন্দ্বে
ফুটতে পারল ন=
494;
হেমন্তবালাø=
0;
জীবনফুলটি।
এই কবিতার
শেষে তাই তিন=
495;
সব বিড়াম্বন=
94;
অতিক্রম করে
রবীন্দ্রনাö=
9;ে
আত্মসমর্পণ
করেছেন। কবি=
80;
কাছে তাঁর
প্রার্থনা :
‘বাঁচা=
;ও
মোরে কবি!
=
নবীন ভোরে=
এখনি
ঘিরে আসে
=
তামসী, হ&=
#2503;
হুতাশে
ভাসি যে
ঘোরে।’
২০
তিনি
বলছেন
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
সাহচর্য পেয়=
03;
তিনি যেন
বিভোর হয়ে
আছেন।
রবীন্দ্রনাö=
9;
যেন সেই সম্প=
480;্ক
থেকে তাঁকে
বঞ্চিত না
করেন :
‘না,
কেহ তú=
7;
ভাঙ্গাতে
নারে।
সোনার
স্বপনে আমি=
ডুবিয়=
;াছি
একেবারে।।<=
i>
..................
তুমি
এসো, মম
শিরে
পরশিয়=
;ে
করখানি
পারো
যদি, গাহ ত÷=
6;
নব-জাগরণ-বাণী’<=
sup>
২১
কবি
যেন
হেমন্তবালাø=
0;
কাছে
পরিত্রাতার
ভূমিকায়
আবির্ভূত এই
কবিতায়।
বারবার কাছে=
80;
মানুষদের
কাছে না পাবা=
480;
বেদনা তাঁকে
যন্ত্রণা
দিয়েছে সারা
জীবন। তাঁর
ব্যক্তিগত
চিঠিপত্রে
বারবার সেই
প্রসঙ্গ এসে=
59;ে।
তাই শেষ পরম
আশ্রয়স্থল
কবিশ্রেষ্ঠõ=
3;ে
তিনি হারাতে
চাননা
কোনোভাবেই।
হেমন=
;্তবালা
দেবীর প্রথম
দিকের লেখা
কবিতা ‘বন্ধুর
প্রতি’। কবিতা=
;টি
বিশ্বভারতী
পত্রিকা-য়
১৪২০
বঙ্গাব্দে
বৈশাখ-আষাঢ়
সংখ্যায়, শ&=
#2509;রী
অমিত্রসূদন
ভট্টাচার্যú=
3;র
সম্পাদনায় প=
09;রকাশিত
হয়। একইসঙ্গ=
03;
রয়েছে ‘আমার
দেবতা’ নামের
আরও একটি
কবিতা।
‘বন্ধ=
;ুর
প্রতি’-তে
হেমন্তবালù=
4;
রবীন্দ্রনাö=
9;কে
একেবারে
বন্ধু
হিসাবেই
সম্বোধন করে
বলছেন রবীন্=
70;্রনাথের
পাঠানো চিঠি
তিনি অসংখ্য
বার পড়েছেন
বিভিন্ন
প্রাকৃতিক
অবস্থায়।
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
ধ্যান করতে
করতে
প্রিয়জনদের
নামই ভুলতে
বসেছেন
হেমন্তবালাð=
4;
এতো ক্ষুদ্র
প্রাণ হয়েও
তিনি যে অবকা=
486;
পেলেন, প্রশ্র=
27;
পেলেন কবির
কাছে, এতেই
তিনি বিধাতা=
80;
কাছে প্রণাম
জানাচ্ছেন।
এই
পত্রিকায়
পরের
প্রকাশিত
কবিতা ‘আমার
দেবতা’। যেখান=
;ে
হেমন্তবালা
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
দেহকান্তির
বিবরণ
লিখেছেন
কবিতাকারে।
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
দেবোপম রূপে
মোহিত
হয়েছিলেন
তিনি। নাহলে=
39;
বরং আশ্চর্য
ছিল। বোঝা যা=
527;
হেমন্তবালাø=
0;
সঙ্গে
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
যোগাযোগ তখন
শুধুমাত্র প=
68;্রালাপেই
সীমাবদ্ধ
নেই।
হেমন্তবালা
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
সঙ্গে তখন
প্রায়ই
সশরীরে
সাক্ষাৎ করত=
03;
যেতেন বাড়ির
গাড়ি চড়েই।
ততদিনে
তাঁদের মধ্য=
03;কার
সম্পর্কের
কথা প্রকাশি=
68;
হয়ে গেছে পরি=
476;ারের
সবার কাছে :
‘প্রভা=
;ত
রবির তরুণ
কিরণ লাবণি
জড়িত অঙ্গ।=
চন্দ্=
;র
উজল আসনে
তাহার হসিত
সুধাতরঙ্গ।ð=
4;’<=
sup>
২২
তিনে=
;র
দশকে
রবীন্দ্রনাö=
9;কে
হেমন্তবালা
পাঠাচ্ছেন ‘ছ&=
#2472;্দহারা’ ক&=
#2476;িতাটি।
বিশ্বভারতী
রবীন্দ্রভব÷=
2;ের
সৌজন্যে এটি
প্রকাশিত
হয়েছিল।
কিন্তু কবে
কোথায় তা জান=
494;
যায়নি।
কবিতাটি কবù=
5;কে
লেখা চিঠি গ=
2509;রন্থেও
মুদ্রিত
হয়েছে। এই
কবিতায়
হেমন্তবালা
বলছেন কবি
তাঁকে সব
ভুলিয়ে
দিচ্ছেন।
তিনিই
হেমন্তবালাø=
0;
মুখে বাণী
ফোটাচ্ছেন।
সব এলোমেলো
হয়ে যাচ্ছে
হেমন্তবালাø=
0;, ত&=
#2494;ই
তো কবিতার
নামটিই এমন। এই
প্রথম কবিকে
কবিতার
মাধ্যমে তিন=
95;
নিজের কথা
নিজেই বলছেন, ক&=
#2454;নো
এমনটা ঘটেনি
এর আগে :
‘কাহার=
;ো
কাছে যাইনি
আমি সরমলাজে
তোমার=
;ে
আমি দেখিনু
যেন আমারি
সাজে
তাই ত=
507;
আজি লাজেরে
লাজি’
=
আপন সুরে
আপনি বাজি
=
উলাসে হাসি
সোহাগে গলি=
=
আপন কথা আপন=
495;
বলি
আমারি
বাণী পশিছে ম=
478;
মরম মাঝে
আমারি
কানে আমার
গানে দরদ বাজ=
503;’<=
sup>
২৩
এখান=
;েও
রয়েছে সেই
আন্তরিকতা
তাই কবিকে
তিনি ‘আপনি’ থ&=
#2503;কে
‘তুমি’ স&=
#2478;্বোধন
করছেন এই কবি=
468;ায়।
শেষে আবারও
মনে করিয়ে
দিচ্ছেন
কবিকে যে
হেমন্তবালা
কবিরই
চরণাশ্রিতা :
‘শরমে
মোর বচন হত
নিঝর
বালা শরণাগত
তোমার
ভাব লহরে ‘ম&=
#2495;শি’
লুটাতে চাহ=
03;
চরণ ’পরে।।=
;’<=
sup>
২৪
‘অর্থ=
;হীন
কবিতা’ নামের
কবিতায়
হেমন্তবালাø=
0;
সঙ্গে যেন
হঠাৎ সাদৃশ্=
79;
পাওয়া যায়
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
‘কঙ্কাল’ গ&=
#2482;্পের
নায়িকার। যে
নিজের
সৌন্দর্য
সম্পর্কে
অত্যন্ত
সচেতন। এই
কবিতাটিতে
হেমন্তবালা
যেন ভেঙে
গড়েছেন
নিজেকে। যা
তিনি কখনো
বলেননি তাই
লিখেছেন এই
কবিতায়।
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
সান্নিধ্য প=
03;য়ে
তাঁর মনে
হয়েছে তিনিই
এই পৃথিবীর
সম্রাজ্ঞী।
তাই বলেছেন
‘অয়ি
কল্পনিকা!
গরবিন=
;ী
গৌরবিনী
অন্তর-ন&=
#2494;য়িকা!
=
শুনি তব
বাণী।
“আমি
পৃথিবীর
রাণী।
আমার
লাগিয়া
ঊর্দ্ধে ফির=
03;
যত দীপ্ত
নভশ্চর।
আমার
লাগিয়া
নিম্নে
উদ্বেলিত
অনন্ত সাগর।
আমার
লাগিয়া অভ্র=
03;
তীব্র বাজ কর=
503;
হানাহানি
আমারি
লাগিয়া বায়ু
বিশ্বমনে কর=
03;
কানাকানি
=
হে মানব, ক&=
#2489;ি
শুন বাণী,
=
আমি সেই
পৃথিবীর
রাণী।।’ ২৫
সাধি=
;কা
বৈষ্ণবী
হেমন্তবালাø=
0;
রাজ্যেশ্বরù=
6; হবার
এই বাসনা এই
একটি মাত্র
কবিতাতেই
উচ্চকিত হয়ে
উঠেছে।
‘মর্ম্মদেবত=
494;র
প্রতি’ কবিতায়
তিনি কাতর
হয়েছেন নিজে=
80;
বন্দী জীবন
থেকে মুক্ত
হবার আশায়।
আশ্রম আর
সংসারের
টানাপোড়েনে
ক্ষত-বিক্ষত
হেমন্তবালা
তাই পরিত্রা=
67;
চেয়েছেন ‘ক&=
#2494;রাগার’ থ&=
#2503;কে
:
‘কারাগ=
;ার
বেঁধে=
;ছে
আমায়
পথ
নাহি পায়
উতলা
খঞ্জন দুটি
পিঞ্জর ভিতর=
03;
মিছামিছি
পাখা ঝাপটিয়=
03;
মরে
কোথা
তুমি
ওগো
মোর প্রিয় বন-ভূমি,
হে
উদার মহাকাশ
লহ
নিজপাশ,
দেখা
দাও হে কাণ্ড
রুচির
=
মাগি নতশির=
04;’<=
sup>
২৬
এবার
যে
কবিতাগুলির
কথা বলতে হয়
তাদেরও
বেশিরভাগেরó=
9;
নাম ও তারিখ
পাওয়া যায়নি=
04;
এগুলি
রবীন্দ্রনাö=
9;কে
প্রেরিত
কবিতাও নয়।
কিন্তু
জীবনের
বিভিন্ন সময়=
03;
হেমন্তবালা =
80;বীন্দ্রনাথ=
2453;ে
বিষয় করে কিছ=
497;
কবিতা
লিখেছেন।
এইরক=
;মই
একটি কবিতাত=
03;
হেমন্তবালা
আঁকছেন বৈশা=
54;-জ&=
#2509;যৈষ্ঠ
মাসের
দাবদাহে
অতিষ্ঠ হয়ে
ওঠা মানুষের
ছবি। বর্ষার
অপেক্ষায় তখ=
72;
দিন গুনছে সব=
494;ই।
কিন্তু বৈশা=
54;-জ&=
#2509;যৈষ্ঠ
যতই তীব্র হো=
453;
হেমন্তবালাø=
0;
কাছে তা যে
পরম কাম্য
কারণ বৈশাখে=
39;
যে কবিগুরুর
জন্ম :
‘নববর্=
;ষার
সুনীল জলদ
অবশ্যই সু
কবির পরম প্র=
495;য়।
কিন্ত=
;ু
আমার
স্বর্ণরবির
মৃদুল কিরণ
অধিক রমণীয়।=
04;
জ্যৈষ=
;্ঠ
ভানুর দারুণ
প্রখর দুঃসহ
উত্তাপে
=
যখন লোকে
দুঃখে সময়
তখনো
এই স্বর্ণ
কিরণ চক্ষে
লাগে ভালো,
মাগে
জীবন আলো আরো
আলো।।’
২৭
১৮
জ্যৈষ্ঠ, ১&=
#2537;৩৮
বঙ্গাব্দে
হেমন্তবালা
কবিগুরুকে
পাঠালেন
রান্নার
রেসিপি
কবিতাকারে।
সেই কবিতাটি
কোনো একটি
পত্রিকায়
প্রকাশিত
হয়েছিল, স&=
#2434;কলক
ছিলেন
অনিন্দিতা
বসু। কিন্তু
পত্রিকার না=
78;
বা প্রকাশের
তারিখ পাওয়া
সম্ভব হয়নি। =
447;ই
পত্রিকা থেক=
03;
জানতে পারা
যায়, এই
চিঠিটির
উত্তর রয়েছে =
চিঠিপত্র
নবম খণ্ডে
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
লেখা ১৭ নম্ব=
480;
চিঠিতে।
হেমন্তবালাø=
0;
চিঠিটি পড়ে
কবিগুরুর পু=
68;্রবধূ
প্রতিমা দেব=
96;
কয়েকটি পদ
রেঁধে
খাইয়েছিলেন
কবিকে।
কবিতাটি
দীর্ঘ হওয়ায়
কবিতাটির
কিছুটা অংশ
প্রকাশিত
হয়েছিল এই
পত্রিকায়।
বিভিন্ন পদ
রান্নার হদি=
86;
দিয়েছেন
হেমন্তবালাð=
4;
বলেছেন :
‘বন্যক=
;চুর
মান্য যেথা=
আদার
সকল কর্ম সেথ=
494;
ওলের
দেশের মেয়ে।
লঙ্কা=
;দ্বীপের
নইকো বধূ
তবুও
হায় লঙ্কা মধ=
497;
মিষ্টি সবার
চেয়ে।।’
২৮
কিংবা
শেখাচ্ছেন
শুক্তো
রান্না :
‘হিঞ্চ=
;ে
গীমে, পলমা
নিমে, রাঁধব=
;ো
কিগো
বেগুন
সিমে?
সজনে
দিয়ে ঝোল?
সরষে
বাটা ফোরন
মেথি
বড়ি
তাহার ব্যথা=
80;
ব্যথী
অন্তর=
;ে
বিভোল,
গাওয়া
ঘৃত তিক্ত
ঝোলে
নাটোর
রাজের চিত্ত
ভোলে
আস্বা=
;দিতে
চাও?’ ২৯
মজা
করে ছন্দ
মিলিয়ে
পদ্যাকারে
রবীন্দ্রনাö=
9;কে
পাঠাচ্ছেন
রান্নার
রেসিপি। এই
কবিতাটিও
স্থান পেয়েছ=
03; কবিকে
লেখা চিঠি ২২
শ্রাবণ, ১&=
#2537;৬৫
বঙ্গাব্দে
পুরীতে বসে ‘তুমি
কি বাণী লইয়া
এলে আজি। অগ্নি=
;বীণায়
তব কিসুর উঠল=
507;
হৃদে বাজি শান্ত=
;ি-শান্তি
হোক। =
পুড়ে যাক
জীবনের
গ্লানি।’
৩০ =
ব&=
#2495;চিত্রা
পত্রিকার
১৩৪০
বঙ্গাব্দের
মাঘ সংখ্যায়
রবীন্দ্রনাö=
9;
হেমন্তবালাø=
0;
সম্মতি নিয়ে=
39; ‘ব&=
#2509;যর্থ’ ন&=
#2494;মের
একটি কবিতা
প্রকাশ
করেছিলেন।
আরও আগে যদি
তাঁর সাক্ষা=
10;
হত
রবীন্দ্রনাö=
9;ের
সঙ্গে তবে আর=
451;
দৃঢ় বন্ধনে
বাঁধতে
পারতেন তিনি
রবীন্দ্রনাö=
9;কে।
এত চিঠি লিখে=
451;
সেই মনোবাসন=
94;
ব্যর্থ হয়েই
রইল। এই
কবিতায় ধরা
রয়েছে সেই
অসফলতার কথা=
04; এখানে
হেমন্তবালা
বেশ সপ্রতিভ
‘ফিরিয়=
;া
গিয়াছে
ব্যর্থ রজনী
=
কাঁদিয়া
গিয়াছে
পাপিয়া।
বৃথাই
অলস জাগর
যামিনী
যাপিয়া।
তোমার
আমার মিছা
দেখাদেখি
দিঠিত=
;ে
দিঠিতে চিঠি
লেখালেখি,
=
পুলকে
কাঁপিয়া
কাঁপিয়া’
৩১
হেমন্তব=
94;লার
মনের সমস্ত
বাসনা
অনর্গলিত হয়=
03;ছে
এই
কবিতাটিতে।
চিঠি=
;তে
পাঠানো
কবিতাগুলি
কবিগুরু পাঠ
করতেন
নিতান্ত
মনোযোগ
দিয়েই। তাই
রবীন্দ্রনাö=
9;
একটি চিঠিতে
হেমন্তবালাõ=
3;ে
লিখেছিলেন :
‘তোমার
চিঠিতে তোমা=
80;
কবিতার যে
পরিচয় পেয়েছ=
95; তাতে
আমি বিস্মিত
হয়েচি। অত্য=
72;্ত
খাঁটি কবিতা,
অবশ্=
;যই
এতে মিশে আছে
কবিগুরুর
প্রশ্রয়। তব=
97;
হেমন্তবালা
দেবীর জীবনে
অনেক টুকরো
প্রসঙ্গ, স&=
#2509;মৃতি, স&=
#2478;্পর্ক, ব&=
#2494;সনা
ছড়িয়ে রয়েছে
তাঁর
রবীন্দ্রনাö=
9;কে
প্রেরিত ও
রবীন্দ্রনাö=
9;কে
বিষয় করে রচি=
468;
কবিতা গুলিত=
03;।
রবীন=
;্দ্র
স্নেহধন্য
ছিলেন
হেমন্তবালা
দেবী।
কবিগুরুকে
পাঠানো তাঁর
কবিতাগুলিতú=
3;
আছে রবীন্দ্=
80;নাথের
সঙ্গে তাঁর
ব্যক্তিগত
সম্পর্ক, ত&=
#2494;ঁর
ইচ্ছে, তাঁর
প্রশ্ন, র&=
#2472;্ধন
প্রণালী, ত&=
#2494;ঁর
জীবনের নানা =
479;ন্ত্রণা
এবং তা থেকে
উত্তরণের পথ=
60;িজ্ঞাসা।
হেমন্তবালা
যে শুধুই
রবীন্দ্র
পত্রপ্রাপিõ=
3;া
নন,
স্বকীয়তায়<=
span
lang=3DHI style=3D'font-size:13.0pt;font-family:BenSen'>, ন&=
#2495;জস্ব
স্বাতন্ত্রú=
9;যে
যে তিনি
উজ্জ্বল অ&=
#2476;শ্যই
তাঁর এই
কবিতাগুলিই
তা প্রমাণ
করে।
তথ্যসূত= 09;র :<= o:p>
১<=
/span>। যশোধরা
বাগচী ও
অভিজিৎ সেন
২<=
/span>। দেবনাথ
বন্দ্যোপাধú=
9;যায়
ও জয়ন্তী
সান্যাল (স&=
#2478;্পা.), ক&=
#2476;িকে
লেখা চিঠি, র&=
#2476;ীন্দ্রভারত=
;ী
বিশ্ববিদ্যù=
4;লয়, ক&=
#2482;কাতা, প&=
#2509;রথম
প্রকাশ ১৯৯৯, প&=
#2499;ষ্ঠা-১<=
/span>।
৩<=
/span>। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
২।
৪<=
/span>। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
২, পৃষ্ঠা-১&=
#2539;।
৫<=
/span>। বিশ্বভারতী
বিশ্ববিদ্যù=
4;লয়ের
রবীন্দ্রভব÷=
2;
অভিলেখ্যাগù=
4;র
থেকে সংগৃহী=
68;, ফ&=
#2494;ইল
নং-৮৭৬।
৬<=
/span>। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
৫।
৭<=
/span>। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
৫।
৮<=
/span>। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
৫।
৯<=
/span>। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
৫।
১&=
#2534;। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
৫।
১&=
#2535;। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
৫।
১&=
#2536;। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
৫।
১&=
#2537;। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
৫।
১&=
#2538;। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
৫।
১&=
#2539;। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
৫।
১&=
#2540;। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
৫।
১&=
#2541;। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
৫।
১&=
#2542;। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
৫।
১&=
#2543;। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
৫।
২&=
#2534;। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
৫।
২&=
#2535;। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
৫।
২&=
#2536;। অমিত্রসূদন
ভট্টাচার্য (স&=
#2478;্পা.), ব&=
#2495;শ্বভারতী
পত্রিকা, ব&=
#2504;শাখ-আ&=
#2487;াঢ়
১৪২০, পৃষ্ঠা-২&=
#2534;।
২&=
#2537;। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
২, পৃষ্ঠা- ১&=
#2536;৫-১&=
#2536;৬।
২&=
#2538;। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
২, পৃষ্ঠা-১&=
#2536;৬।
২&=
#2539;। হেমন্তবালা
দেবীর মূল
পাণ্ডুলিপি
থেকে উদ্ধৃত=
04;
২&=
#2540;। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
২৫।
২&=
#2541;। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
২৫।
২&=
#2542;। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
২, পৃষ্ঠা-২&=
#2543;।
২&=
#2543;। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
২৮।
৩&=
#2534;। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
২৫।
৩&=
#2535;। পূর্বোক্ত
তথ্যসূত্র ন=
34;
২৫।
৩&=
#2536;। পুলিনবিহার=
496;
সেন (সংকলিত ও
সম্পাদিত), চ&=
#2495;ঠিপত্র, ন&=
#2476;ম
খণ্ড, বিশ্বভ=
94;রতী, ক&=
#2482;কাতা, প&=
#2509;রকাশ- বৈশাখ
১৩৭১, পরিবর্=
71;িত
সংস্করণ-ব&=
#2504;শাখ
১৪০৪(কানাই
সামন্ত ও সনৎ
কুমার বাগচী
কর্তৃক সংকল=
95;ত
ও সম্পাদিত), প&=
#2499;ষ্ঠা-৮<=
/span>।
হেমন্=
;তবালা
দেবীর কবিতা =
451;
রবীন্দ্রনাö=
9; : কিছু
প্রসঙ্গ দেবাঞ্জনা
সাধুখাঁ
=